ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

২০২৫ মে ২৫ ১৯:৩১:৩৫
বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং অতীতে তার ভারতের অবস্থান নিয়ে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে, ঠিক সেই সময় তার অতীতের সাহসী ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি তুলে ধরেন ২০১৫ সালের সেই উত্তাল সময়ের কথা, যখন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি চরম দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছিল।

শফিকুল আলম লিখেছেন, গুম হওয়ার কিছু সপ্তাহ আগেই সালাউদ্দিন আহমেদ গোপনে বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তখন খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে কার্যত গৃহবন্দি, দলের শীর্ষ নেতারা কেউ আত্মগোপনে, কেউবা গ্রেফতার। এমন সংকটময় মুহূর্তে প্রতিদিন সালাউদ্দিনের পাঠানো বিবৃতিই ছিল গণমাধ্যমের ভরসা।

তিনি লেখেন, “তার বিবৃতিগুলো ছিল পরিষ্কার, সাহসী এবং রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রুহুল কবির রিজভীর মতো নিবেদিত রাজনীতিক থাকলেও তার ভাষা জটিল হতো, উদ্ধৃতি নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন আহমেদ যে বিবৃতি পাঠাতেন, সেগুলো একেকটি যেন বিস্ফোরণ—প্রতিটি শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিত।”

শফিকুল দাবি করেন, তার এই প্রকাশ্য অবস্থানের কারণে শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন যে, তাকে ধরতে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই তিনি ‘গুম’ হন এবং অনেক পরে ভারতের শিলংয়ে তার সন্ধান মেলে।

স্মৃতিচারণে উঠে আসে সালাউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের সাহসী ও অবিচল আন্দোলনের কথাও। শফিকুল মনে করেন, ‘মায়ের ডাক’-এর সদস্যদের সঙ্গে তার সম্মিলিত প্রতিবাদই হয়তো শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধ্য করে সালাউদ্দিনকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পাঠাতে।

স্ট্যাটাসের এক পর্যায়ে আক্ষেপ করে তিনি লেখেন, “আজকের তরুণ প্রজন্ম এই সাহসী অধ্যায় ভুলে গেছে। অথচ এই আন্দোলনগুলোই ছিল সেই সময়ের শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিবাদ। সময়ের সঙ্গে ভালো দিন আসলেও, খারাপ সময়ের ইতিহাস যেন হারিয়ে না যায়।”

আশা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ