সদ্য সংবাদ
লাগামহীনভাবে বাড়ছে স্বর্ণের দাম, কেন বাড়ছে, জানা গেল আসল কারন

লাগামহীনভাবে বাড়ছে স্বর্ণের দাম, কেন বাড়ছে, অবশেষে জানা গেল আসল কারন। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, যা ক্রেতাদের আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে এবং দিন দিন বিক্রিও হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নেতারা জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ, ১০ মাসে ভরিপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দাম কমার কথা থাকলেও স্বর্ণের বাজারে সেটি ঘটছে না। বরং আরও বাড়ছে। বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, দেশের স্বর্ণবাজার মূলত তাঁতীবাজারের ওপর নির্ভরশীল এবং অন্যান্য পণ্যের মতো স্বর্ণের দামে সহজে সমন্বয় করা যায় না, যা দাম বৃদ্ধির একটি কারণ।
দেশে নয় আন্তর্জাতিক বাজারেও স্বর্ণের দাম বেড়েছে। ১ নভেম্বর প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য ২ হাজার ৭৫৪ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের অস্থিরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ গ্রহণের প্রভাব বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়াচ্ছে।
রাজধানীর তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠানামা দেশের বাজারকেও প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের বার্ষিক স্বর্ণের চাহিদা ২০-৪০ টন, যা পুরানো অলঙ্কারের ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে পূরণ হয়। এ বছর নতুন স্বর্ণ আমদানি না হলেও ব্যাগেজ রুলসের আওতায় ৩১ টন স্বর্ণ দেশে এসেছে।
এদিকে, বাংলাদেশে পাচারের রুট ব্যবহার হওয়ায় ১০১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ হয়েছে। তাঁতীবাজারের বিক্রেতারা দাবি করেছেন, তারা নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছেই স্বর্ণ বিক্রি করেন এবং চোরাচালানের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এভাবেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবে দেশের স্বর্ণের বাজারে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে।