সদ্য সংবাদ
বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদকে এক হাত দিলেন পিনাকী ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সালাউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, "ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রয়োজন।" তবে তার পূর্ববর্তী বক্তব্য ছিল, "আমরা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে চাই না, আমাদের মূল লক্ষ্য হল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া।" এই বক্তব্যের মধ্যে কেন পরিবর্তন আসল? ভারতের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতের সরকারের আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। বিশেষত, তার দলের অনেক নেতা মনে করেন, তিনি "কম্প্রোমাইজড" হয়ে গেছেন। অনেকেই মনে করেন, তিনি ভারতে কতটা প্রভাবমুক্ত ছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সালাউদ্দিন আহমেদের দেওয়া বিবৃতি, বিশেষত BBC-র প্রশ্নের জবাব, যা তিনি মুখোশ পরা অবস্থায় দিয়েছিলেন, তাও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
তবে এসব বিষয় একপাশে রেখে, এস আলম কেস নিয়ে আলোচনা করা যাক। অনেকের দাবি, এস আলমের ব্যবসায়ের সাথে সালাউদ্দিন আহমেদের সম্পর্ক ছিল। সালাউদ্দিন যখন এস আলমের ব্যাংক ম্যানেজারের বাসা থেকে গ্রেফতার হন, তখন প্রশ্ন উঠেছিল, কেন তিনি এস আলমের সাথে এত ঘনিষ্ঠ ছিলেন?
এখন আবার সালাউদ্দিন আহমেদ বলছেন, "সরকার অনির্বাচিত, অনির্বাচিত," কিন্তু তার দল কি নির্বাচিত সরকারের বিকল্প হতে পারে? বিএনপি কি আসলেই গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে? অনেকেই মনে করেন, বিএনপি শুধু সরকারের সমালোচনা করে চলছে, কিন্তু তারা কি নিজেদের দলের মধ্যে নির্বাচনী সংস্কৃতি তৈরি করতে পারছে?
বিএনপি সরকার বারবার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, কিন্তু আসল প্রশ্ন হল, তারা কি নতুন সংবিধান তৈরির জন্য প্রস্তুত? সরকার যখন নির্বাচন কমিশন গঠন করে, সেটা নির্বাচিত সরকারের অধিকার; তাহলে বিএনপি কেন এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে? তারা কি আসলে গণপরিষদ নির্বাচনে আগ্রহী নয়, কারণ ওই নির্বাচন তাদের লুটপাটের পথ বন্ধ করে দিতে পারে?
এদিকে, পিনাকী ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুললেন, "বিএনপি কেন হাসিনার সংবিধান বদলাতে চায় না? তারা কি জানে, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে নতুন সংবিধান প্রয়োজন?" যদি সালাউদ্দিন আহমেদ এবং তার দলের নেতারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী হন, তাহলে তাদের উচিত নিজেদের দলের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া তৈরি করা। তাদের দলের মধ্যে নির্বাচনী সংস্কৃতি সৃষ্টি করা জরুরি, নাহলে তারা দেশের গণতন্ত্রের জন্য কিভাবে কথা বলবেন?
এদিকে, বিএনপির নেতারা স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বারবার মুক্তিযুদ্ধের সনদ দাবি করে থাকেন, কিন্তু তারা কি ভুলে গেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল জনগণের এক ঐতিহাসিক অর্জন? সুতরাং, যখন বিএনপি নেতারা নির্বাচনের কথা বলেন, তখন তাদের নিজেদের দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভাবও মনে রাখা উচিত।
আমরা নতুন দিনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন চাই, যেখানে জনগণ নিজে সংবিধান রচনা করবে এবং সরকারের হিসাব নেবে। এটি নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ। আজ যারা সংসদ নির্বাচন আগে চাচ্ছেন, তারা আসলে পুরনো ব্যবস্থা বজায় রাখতে চাচ্ছেন। আমরা চাই নতুন সংবিধান, নতুন পরিকল্পনা, এবং গণপরিষদ নির্বাচন।
এটাই আমাদের লড়াই, আমাদের বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা। আমরা এই বাধা কোনভাবেই মেনে নেব না।
— সিদ্দিকা