ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৪ ২০:১৪:১৭
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলেও দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে এখনো আগের শাসনামলের ছায়া স্পষ্ট। বিশেষ করে সামরিক খাতে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে।

ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)—যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা পরিচালিত এবং বিইউপি-অধিভুক্ত—সেখানে এখনো চারজন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এটি দেশের অন্যতম নিরাপত্তাবহুল এলাকা।

এই ভারতীয় কর্মকর্তারা হলেন—

* কর্নেল অরিন্দম চ্যাটার্জি (ভারতীয় সেনাবাহিনী)

* লেফটেন্যান্ট কমান্ডার টি গোপীকৃষ্ণ (ভারতীয় নৌবাহিনী)

* গ্রুপ ক্যাপ্টেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর পাটনায়েক (ভারতীয় বিমান বাহিনী)

* গ্রুপ ক্যাপ্টেন এন এ সামান্না (ভারতীয় বিমান বাহিনী)

এমআইএসটি-র ওয়েবসাইট অনুসারে, তারা ২০২২ সাল থেকে কর্মরত। কিন্তু নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন প্রশ্ন উঠছে—তারা কি কোনো বৈধ চুক্তির আওতায় এখনো কর্মরত, নাকি পুরনো রাজনৈতিক সম্পর্ক ও প্রভাবের কারণেই এখনও থেকে গেছেন?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কর্মকর্তারা যেহেতু কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মতো স্পর্শকাতর বিভাগে নিয়োজিত, তাই এদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোপন নেটওয়ার্ক, সাইবার সিস্টেম ও কৌশলগত তথ্য বিদেশে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদারুল আলম এই পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার সময়কালে ভারতের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতার ফলে অনেক ভারতীয়পন্থীকে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল। এখন সরকার বদল হয়েছে, তাই এদের ভূমিকা ও অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করা সময়ের দাবি।

তিনি আরও বলেন, “সেনানিবাস দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা। সেখানে বিদেশি সেনা কর্মকর্তাদের নিয়মিত উপস্থিতি শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, বরং গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরই বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে—বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কি সত্যিই নিরাপদ? নাকি এর ছায়াতেই দেশের স্পর্শকাতর তথ্য সরে যাচ্ছে দেশের বাইরে?

এই বিষয়ে সরকারি বা সামরিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশের সচেতন নাগরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা দ্রুত তদন্ত ও স্বচ্ছ ব্যাখ্যার দাবি জানিয়েছেন।

সিদ্দিকা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ