ঢাকা, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৮ ২০:০০:৩২
এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কোথাও ভারী বর্ষণ—ফলে সড়কে জমেছে পানি, সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। তবে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে, যা কিছুটা স্বস্তিও এনে দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ ধরনের বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে আগামী ১২০ ঘণ্টার (পাঁচ দিন) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক স্থানে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ বিস্তৃত রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে আসাম পর্যন্ত। এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়েছে। মৌসুমী বায়ু দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং অন্যান্য স্থানে মোটামুটি সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে প্রবলভাবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়—৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ফেনীতে টানা বৃষ্টির ফলে শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় হাঁটু পানি জমেছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি—যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলাজুড়ে আরও দুই-তিন দিন এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কহুয়া নদীর বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে, তবে তা এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ