ঢাকা, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

তরুণদের মধ্যেও বাড়ছে ক্যানসার: এই লক্ষণগুলো অবহেলা করলেই বিপদ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৯ ১০:৪২:২৬
তরুণদের মধ্যেও বাড়ছে ক্যানসার: এই লক্ষণগুলো অবহেলা করলেই বিপদ

নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে দ্রুতগতিতে বাড়ছে কোলন ক্যানসারের হার, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। বৃহদান্ত্র বা রেকটামে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকটাই নিরব থাকে। ফলে সময়মতো শনাক্ত না হলে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

ভারতের অভিজ্ঞ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. জোসেফ সালহাব সম্প্রতি জানিয়েছেন, বর্তমানে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২০-৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যাই দ্রুত বাড়ছে। তিনি জানান, ২৫ বছর বয়সী এক রোগী নিয়মিত পেটের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে স্টেজ–৪ ক্যানসারে আক্রান্ত। একটি সাধারণ কলোনোস্কোপি ভিডিওতেই ধরা পড়ে বিপজ্জনক বাস্তবতা।

তাই এই রোগের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ অবহেলা না করার আহ্বান জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কোলন ক্যানসারের লক্ষণ যেগুলোকে হালকাভাবে নিলে বিপদ হতে পারে:

১. চোখে রক্তপাত:

চোখে রক্তপাত হলে অনেকেই তা চোখের সমস্যা মনে করেন। কিন্তু এটি হতে পারে দেহে লুকিয়ে থাকা ক্যানসারের সতর্ক সংকেত।

২. ঘন ঘন পেটব্যথা:

কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই যদি নিয়মিত পেট ব্যথা হয় এবং তা সহজে কমে না, তবে অবহেলা না করে চিকিৎসা করানো উচিত।

৩. দুর্বলতা ও ক্লান্তি:

সবসময় ক্লান্ত লাগা, কিছু করলেই দম ফুরিয়ে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে পড়া কোলন ক্যানসারের একটি সম্ভাব্য উপসর্গ হতে পারে।

৪. মলত্যাগে পরিবর্তন:

দীর্ঘদিন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলের রঙ বা গন্ধে পরিবর্তন, বা রক্ত দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

৫. খাবারে অরুচি:

হঠাৎ খেতে ইচ্ছা না করা বা ক্ষুধা কমে যাওয়া যদি কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।

৬. ওজন হ্রাস:

কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া অনেক সময় ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। অবহেলা না করে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

৭. রাতের ঘাম:

রাতের বেলা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, এমনকি ঠান্ডার মধ্যেও শরীর ভিজে যাওয়া দেহে গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

৮. ঘন ঘন জ্বর:

বিষয়টি সাধারণ ঠান্ডা ভাবলেও, কারণ ছাড়া ঘন ঘন জ্বর হওয়া ক্যানসারসহ অন্যান্য জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।

তরুণরাও ঝুঁকিতে কেন?

বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপন, বাইরের প্রসেসড খাবার খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, মানসিক চাপ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করার প্রবণতা তরুণদেরও এই ঝুঁকিতে ফেলছে। আগে যে রোগকে শুধু মধ্যবয়সীদের সমস্যা ভাবা হতো, এখন তা ২০-এর কোটার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন বা উপসর্গকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, ব্যালান্সড ডায়েট এবং শারীরিক অ্যাকটিভিটি বজায় রাখলেই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

সোহাগ/

ট্যাগ: ক্যান্সার

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ