ঢাকা, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

কিডনির ব্যথা, নাকি শুধু গ্যাস! সহজ উপায়ে বুঝবেন পার্থক্য

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৩ ০৭:২৮:৫৭
কিডনির ব্যথা, নাকি শুধু গ্যাস! সহজ উপায়ে বুঝবেন পার্থক্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ পিঠের পাশে বা কোমরের নিচে তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন? অনেক সময় এই ব্যথাকে আমরা গ্যাসের সমস্যা বা পেশির টান ভেবে অবহেলা করি। কিন্তু জানেন কি, এমন ব্যথা হতে পারে কিডনিতে পাথর থাকার ইঙ্গিতও? শরীরের এই তিন ধরনের ব্যথার ভিন্নতা বুঝতে পারলেই সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নেয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই—কীভাবে বুঝবেন কিডনির ব্যথা, গ্যাসের ব্যথা আর পিঠের ব্যথার পার্থক্য।

ব্যথার ধরন ও তীব্রতা

* কিডনির পাথর: ব্যথা হঠাৎ শুরু হয়, খুব তীব্র হয় এবং ছুরি দিয়ে খোঁচা দেওয়ার মতো লাগে। সঙ্গে বমি ভাব বা প্রকৃত বমি হতে পারে।

* পিঠের ব্যথা: সাধারণত মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের হয়। একই ভঙ্গিতে বসলে বা নড়াচড়া করলে বাড়তে পারে।

* গ্যাসের ব্যথা: তুলনামূলকভাবে কম তীব্র, হালকা চাপ বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে এবং সময়ের সঙ্গে কমে আসে।

ব্যথার অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি

* কিডনির ব্যথা: পিঠের একপাশে বা পাঁজরের নিচে শুরু হয়। ধীরে ধীরে তলপেট, কুঁচকি বা যৌনাঙ্গের দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

* পিঠের ব্যথা: সাধারণত পিঠের এক নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে, সরে বেড়ায় না।

* গ্যাসের ব্যথা: পেটের ওপরের অংশে হয় এবং গ্যাসের গতিবিধি অনুযায়ী স্থান পরিবর্তন করে।

ব্যথার সঙ্গে দেখা দিতে পারে যেসব উপসর্গ

* কিডনির পাথর:

* প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে বা ঘোলাটে হতে পারে।

* ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসে।

* প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়।

* কখনো কখনো জ্বর বা কাঁপুনিও দেখা দিতে পারে।

* গ্যাসের সমস্যা:

* পেট ফাঁপা লাগে।

* বারবার ঢেঁকুর ওঠে।

* গ্যাস বের হলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়।

* পিঠের ব্যথা:

* মাংসপেশিতে টান ধরার অনুভব।

* নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় ব্যথা বাড়ে বা কমে।

ভঙ্গিমা বা চলাফেরার প্রভাব

* পিঠের ব্যথা: বসা, ওঠা, বাঁকা হওয়া—এই ভঙ্গিগুলোর সঙ্গে ব্যথা বাড়তে বা কমতে পারে।

* গ্যাসের ব্যথা: হাঁটাচলা বা টয়লেট ব্যবহারের পর কমে যেতে পারে।

* কিডনি স্টোনের ব্যথা: অবস্থান বদলালেও ব্যথা কমে না। বরং রোগী অস্থিরভাবে নড়াচড়া করলেও স্বস্তি পান না।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

যদি ব্যথা অত্যন্ত তীব্র হয়, বারবার ফিরে আসে এবং এর সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যা, জ্বর বা বমিভাব থাকে—তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, সময়মতো রোগ নির্ণয় না হলে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

রিপোর্ট: সিদ্দিকা

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ