সদ্য সংবাদ
জরিপ বলছে: জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের টানা ১৭ বছরের শাসনের অবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১১ মাস ধরে দেশ পরিচালনা করছে। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আলোচনা এখন সর্বত্র—বাড়ি-ঘর, বাজার, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
এই প্রেক্ষাপটে, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে, এখনই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি পাবে সর্বোচ্চ ৩৮.৭৬ শতাংশ ভোট।
দ্বিতীয় স্থানে থাকবে জামায়াতে ইসলামী, যাদের সম্ভাব্য ভোট ২১.৪৫ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নতুন উদীয়মান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—তাদের সম্ভাব্য ভোট ১৫.৮৪ শতাংশ।
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো, এক সময়ের শাসক দল আওয়ামী লীগ জরিপে চতুর্থ নয়, বরং পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। তাদের সম্ভাব্য ভোট মাত্র ১৫.০২ শতাংশ।
জাতীয় পার্টি পাবে প্রায় ৩.৭৭ শতাংশ, এবং অন্যান্য ছোট দল ও জোটগুলো মিলে পাবে মাত্র ০.৫৭ শতাংশ ভোট। ধর্মভিত্তিক অন্যান্য দলের মোট ভোটপ্রাপ্তির হার হবে আনুমানিক ৪.৫৯ শতাংশ।
জরিপে অংশ নিয়েছেন মূলত তরুণ ও প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া নতুন ভোটাররা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ তরুণ প্রজন্মই এবারের নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
সানেম জরিপে সম্ভাব্য ভোটের হিসাব:
* বিএনপি: ৩৮.৭৬%
* জামায়াত: ২১.৪৫%
* এনসিপি: ১৫.৮৪%
* আওয়ামী লীগ: ১৫.০২%
* জাতীয় পার্টি: ৩.৭৭%
* ধর্মভিত্তিক অন্যান্য দল: ৪.৫৯%
* অন্যান্য ছোট দল: ০.৫৭%
উল্লেখযোগ্য যে, কোরবানির ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে পরে লন্ডনে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকের পর নির্বাচনের সময় আরও এগিয়ে আসতে পারে—এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সরকারপ্রধানের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কার সংক্রান্ত অগ্রগতি সন্তোষজনক হলে রমজানের আগেই, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সোহাগ/