ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস

২০২৫ জুন ২৪ ২২:১৮:৫৩
বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিনেমা কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়—এটি এমন এক শিল্প যা কখনো কখনো বাস্তবতাকে অতিক্রম করে গভীর সত্য তুলে ধরে। কিছু কিছু চলচ্চিত্রে চরিত্রদের এমন ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করা হয় যে দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগে: তারা কি শুধুই অভিনয় করছেন, নাকি সত্যিই বাস্তব সম্পর্ক চিত্রায়িত হয়েছে ক্যামেরার সামনে?

আজ আমরা এমন দশটি সাহসী ও আলোচিত চলচ্চিত্রের কথা বলব, যেখানে অভিনয় এতটাই জীবন্ত ও ঘনিষ্ঠ যে তা নিয়ে জন্ম নিয়েছে বিস্তর বিতর্ক, কিন্তু একই সঙ্গে অর্জন করেছে শিল্পমূল্য ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

১. Caligula

১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ঐতিহাসিক রোমান চলচ্চিত্রটি খোলামেলা দৃশ্যের কারণে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। ছবিতে বাস্তব সহবাসের দৃশ্য ব্যবহৃত হয়েছিল বলে জানা যায়। নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও একে অনেকেই ব্যতিক্রমধর্মী শিল্পকর্ম হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।

২. All About Anna

ডেনমার্কের এই সাহসী চলচ্চিত্রে একাকীত্ব ও সম্পর্কের জটিলতাকে গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অতিরিক্ত সাহসী দৃশ্যের জন্য অনেকে সমালোচনা করলেও, ছবিটি অনেক দর্শকের কাছে আত্মসমালোচনার এক আয়না হয়ে উঠেছে।

৩. The Brown Bunny

ভিনসেন্ট গ্যালো পরিচালিত এই ছবির একাধিক দৃশ্যে বাস্তব ঘনিষ্ঠতার ছাপ রয়েছে। বিশেষ একটি দৃশ্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ওঠে, যেখানে অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যকার দৃশ্য নিছক অভিনয় নাকি বাস্তব, তা নিয়ে সমালোচকরা দ্বিধাবিভক্ত হন।

৪. Nymphomaniac

লার্স ভন ত্রিয়েরের দুঃসাহসী প্রজেক্ট এই চলচ্চিত্রে যৌনতা, আত্মপরিচয় ও মানবমনের গভীর অন্ধকারকে তুলে ধরা হয়েছে। ছবির ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো এতটাই বাস্তব যে দর্শকপ্রতিক্রিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।

৫. Lie with Me

এই কানাডিয়ান চলচ্চিত্রে প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগের এমন এক বাস্তবমুখী চিত্রায়ন রয়েছে, যা অনেকটা বাস্তব অভিজ্ঞতার মতো মনে হয়। এখানেও সহবাসের দৃশ্যগুলো অভিনয়ের সীমা ছাড়িয়ে বাস্তবতার কাছাকাছি চলে যায়।

৬. Sweet Sweetback's Baadasssss Song

১৯৭১ সালের এই চলচ্চিত্রটি আফ্রিকান-আমেরিকান একজন ব্যক্তির রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবাদকে উপজীব্য করে নির্মিত। এর সাহসী ও বাস্তব ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো সে সময়ের মার্কিন সিনেমার ধারা পাল্টে দিয়েছিল।

৭. Gandu

ভারতের বিকল্পধারার চলচ্চিত্র ‘গান্ডু’ নগ্নতা, কবিতা ও সংগীতের মিশেলে এক ব্যতিক্রমী ভাষা তৈরি করেছে। কলকাতার পটভূমিতে তৈরি এই ছবির সাহসী দৃশ্য বাস্তব অভিনয়ের সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলেই মনে করেন অনেকে।

৮. Baise-Moi

ফরাসি এই ছবিতে নারীর প্রতিশোধ ও স্বাধীনতার কাহিনি বলা হয়েছে অত্যন্ত সরাসরি ভাষায়। বাস্তব সহবাসের দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত থাকায় বহু দেশে এটি নিষিদ্ধ হয়, কিন্তু একই সঙ্গে ছবিটি নারীবাদী প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবেও উঠে আসে।

৯. 9 Songs

এই ব্রিটিশ ছবিটি প্রেম ও সংগীতের সমন্বয়ে গঠিত এক ধরণের ভিজ্যুয়াল ডায়েরি। এর প্রতিটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত জীবন্ত ও বাস্তবসম্মত, যা চলচ্চিত্রটিকে আরও মানবিক করে তুলেছে।

১০. Love

গ্যাসপার নোই পরিচালিত ‘Love’ নামের ছবিতে ভালোবাসা, যৌনতা ও দর্শনের এক অনন্য মিশ্রণ দেখা যায়। এতে ব্যবহৃত অনেক দৃশ্য এতটাই খোলামেলা ও বাস্তব যে তা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের সময়ও বিতর্কের ঝড় তোলে।

এই দশটি সিনেমা শিল্পের সাহসিকতাকে নতুন মাত্রা দেয়। বাস্তবতা আর অভিনয়ের মাঝখানের দাগ মুছে গিয়ে সিনেমাগুলো যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়ায়। বিতর্ক থাকলেও, এসব চলচ্চিত্র আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একজন শিল্পীর আসল দায়িত্বই হলো সত্যকে সাহসের সঙ্গে তুলে ধরা, যতই তা অস্বস্তিকর হোক না কেন।

– প্রতিবেদক, সোহাগ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ