ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২

হাসান

রির্পোটার

নতুন পে স্কেল: ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ০১:০৮:৫৩
নতুন পে স্কেল: ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর

হাসান: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বছরের উপহার হিসেবে আসছে বহুল প্রতীক্ষিত নতুন বেতন কাঠামো। দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে এই নতুন পে স্কেল। গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক সার্কুলার জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (নন-লাইফ) মনিরা বেগম স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনাটি এখন সরকারি দপ্তরে দপ্তরে আলোচনার মূল কেন্দ্রে।

২০২৬ সালের প্রথম দিনটি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এক নতুন বারতা নিয়ে আসছে। আইডিআরএ-র সাম্প্রতিক সার্কুলার অনুযায়ী, জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হবে। বর্তমানের আকাশচুম্বী বাজারদর এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত বর্তমান বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে সরকারি চাকুরেরা যেন সচ্ছলভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন, সেটিই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

নতুন এই পে স্কেলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো বেতন বৈষম্য নিরসন। দীর্ঘ দিন ধরে নিম্ন ও মধ্যম গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্যে যে অসন্তোষ ছিল, তা দূর করতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের মোট আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে। বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে কর্মচারীদের মধ্যে কর্মস্পৃহা বাড়বে, যা সরাসরি সরকারি সেবার মানকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে সরকারি কোষাগারে বড় ধরনের অর্থের প্রয়োজন হবে, যা জাতীয় বাজেটে এক ধরনের চাপ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে দশম ও একাদশ গ্রেডের বেতন বৃদ্ধি সরকারের জন্য একটি বড় আর্থিক চ্যালেঞ্জ। তবে অর্থনীতিবিদরা এর ইতিবাচক দিকও দেখছেন। তারা মনে করছেন, কর্মচারীদের হাতে বেশি টাকা আসলে বাজারে পণ্য ও সেবার চাহিদা বাড়বে, যা দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনবে। তবে এই বাড়তি চাহিদা যেন মূল্যস্ফীতিকে উসকে না দেয়, সেদিকে সরকারকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।

যদিও নতুন স্কেল ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে, তবে কর্মচারীরা বর্ধিত এই বেতন হাতে পাবেন ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে (জানুয়ারি মাসের বেতন হিসেবে)। নতুন এই হার নির্ধারণ এবং প্রতিটি দপ্তরের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করতে সাময়িকভাবে কিছু প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দ্রুত কাজ করছে যাতে কোনো বিভ্রান্তি ছাড়াই সবাই সঠিক সময়ে বেতন পান। এই সংস্কার কেবল আর্থিক প্রাপ্তি নয়, বরং একটি গতিশীল ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ