ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ২৫ ২২:৫৫:১৫
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তুঙ্গে। বিভিন্ন দল যখন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে, তখন সাধারণ মানুষের মনেও নানা প্রশ্ন, শঙ্কা আর প্রত্যাশা ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ চান অবিলম্বে ভোট হোক, কেউ আবার বলছেন—সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আগে প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার।

রাজধানীর এক নাগরিকের কথায়, “ফখরুদ্দিনের সময় যেমন সবাই চুপ হয়ে গিয়েছিল, এখনো কি তেমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে? দেশের পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কেউ কারো কথা শুনছে না। সবকিছু এখন যেন ড. ইউনূসের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করলেও জামায়াতে ইসলামীর মতে, আগে চাই সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও নির্বাচনপূর্ব সংস্কার। অন্যদিকে, এনসিপি বলছে—বর্তমান সরকারের সময় অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করা উচিত।

তবে সাধারণ মানুষের অভিমত বিষয়টিকে একমুখী করে না। কেউ বলছেন, “প্রথমে দেশের প্রশাসনিক দুর্বলতা ও অবকাঠামোগত সমস্যা ঠিক করতে হবে। এরপর নির্বাচন হলে তবেই গণতন্ত্র টিকবে।” অন্যরা মনে করছেন, “যদি একটি গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ দেওয়া যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরে আসবে, আর দেশের স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত হবে।”

এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, “অনেক বছর আমরা সত্যিকারের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এবার যদি তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিয়ে আবারো একতরফা পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কি সেটা গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতি হবে?”

কেউ কেউ মনে করেন, দেশ আপাতদৃষ্টিতে স্থিতিশীল থাকলেও তার পেছনে রয়েছে গভীর অসন্তোষ ও অনিশ্চয়তা। একজন নাগরিক বলেন, “সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া ঠিক আছে, কিন্তু যে দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো জমে আছে, সেগুলোর সমাধান ছাড়া নির্বাচন দিলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা আদৌ পূরণ হবে না। বিগত তিনটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তো আমাদের সামনে রয়েই গেছে।”

সবশেষে বলা যায়, জনগণের প্রত্যাশা খুবই স্পষ্ট—একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, যা হবে ন্যায্য সংস্কারের ভিত্তিতে। তবেই গণতন্ত্র শক্ত হবে, এবং দেশ পাবে একটি প্রকৃত জনমানুষের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ