সদ্য সংবাদ
‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে তদন্তের মুখে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, তালিকায় আরও ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজেই এবার ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে তদন্তের আওতায় এসেছেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেটের বৈধতা নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। একই তালিকায় রয়েছেন আরও ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁদের দাবির পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকার ইতোমধ্যে সাবেক সাতজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সচিব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জামুকার ৯৫তম সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সভায় জানানো হয়, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের আবেদন, গেজেট, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য দলিলপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে সরকার নির্ধারিত ফরম প্রকাশ করেছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং সরাসরি প্রাপ্ত অভিযোগও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।
তদন্তাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
- সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক - সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান - সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম - সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু - সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ও টিপু মুনশি - সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন
এছাড়া আরও রয়েছেন: আওয়ামী লীগ এমপি আমিরুল আলম মিলন ও মীর শওকত আলী বাদশা, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, অতিরিক্ত সচিব তড়িৎ কান্তি রায়, সাবেক আইজিপি আবদুর রহিম খান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোল্লা ফজলে আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির, ক্যাপ্টেন আনারুল ইসলাম, সাবেক কর কমিশনার ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শাহ সালাউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন।
সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন মোজাম্মেল হক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি কবে, কোথায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন বা প্রশিক্ষণ নেন— সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো নথি পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়, যার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে।
২০২৩ সালে জামুকার সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব খ ম আমীর আলী একটি রিট মামলা (নম্বর ১৫১৪২) দায়ের করেন, যেখানে মোজাম্মেল হকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তে দেখা যায়, ভারতের প্রশিক্ষিত ৫১ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তাঁর নাম নেই। অভিযোগ আছে, ১৯৮৬ সালের ‘লাল মুক্তিবার্তা’র ভলিউমে তাঁর নাম পরে ঘষামাজা করে ঢোকানো হয়।
জামুকা জানিয়েছে, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিল করা হবে।
–মাসুদ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- জানা গেল হাদীকে কারা করে গু’লি? রিকশায় ছিলেন তিনি
- নবম পে-স্কেল: চালু ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে, যা জানালেন সরকারি কর্মচারীরা
- বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনা: নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ-দেখুন ফলাফল
- নবম পে স্কেল কাঠামো আসছে ৩ ধাপে, দেখুন কবে থেকে কার্যকর
- কানে চুল গজানো কিসের লক্ষণ? জানলে অঁতকে যাবেন
- মোহাম্মদপুরে হ’ত্যাকান্ড: বেরিয়ে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ যে ঘোষণা: জানুন সর্বশেষ অপডেট
- বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনা: ২ গোলে শেষ হল ম্যাচ, দেখুন ফলাফল
- হাদিকে গু’লি, হামলাকারী ২ জনের সম্পর্কে যা জানা গেল
- ভয়াবহ ভূমিকম্প: এবার কম্পন ৬.৭ মাত্রার-উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- ভয়াবহ ভূমিকম্প: কম্পন ৭ মাত্রার
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ: কোথায়, কখন-সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- আর্জেন্টিনা বনাম বাংলাদেশ আজকের ম্যাচ সরাসরি দেখুন (LIVE)
- মোহাম্মদপুরের হ’ত্যা’কান্ড: কারন জানালেন গৃহকর্মী
- কাল বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ: যেভাবে দেখবেন সরাসরি (LIVE)