সদ্য সংবাদ
ভারতের সামনে বিপর্যয়: সুপারপাওয়ার হওয়ার পথে বিশাল বাঁধা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতে বৃদ্ধজনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটছে। বর্তমানে দেশটির 60 বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি, এবং ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৩৫ কোটি হবে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকিন্সি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (MGI) এর এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও নিশ্চিত করেছে। জরিপে বলা হয়েছে, বার্ধক্য বৃদ্ধির ফলে আগামী ২৫ বছরে ভারতের জনমিতিক লাভ কমে যেতে পারে।
MGI এর বিশ্লেষক অনু মাধব গড়কার মনে করেন, ভারতের সামনে ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য মাত্র একটি প্রজন্মের সময় রয়েছে। এরপর দেশটির জনসংখ্যাগত কাঠামো উত্তর আমেরিকার মতো হয়ে যাবে, তবে মাথাপিছু আয় থাকবে অনেক কম। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ভারত ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগেই এর অধিকাংশ জনগণ বয়স্ক হয়ে যায়, তবে দেশের উন্নতি ঘটার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বর্তমানে প্রতি প্রবীণের বিপরীতে কর্মক্ষম জনগণের সংখ্যা ৯৮, কিন্তু ২০৫০ সালের মধ্যে তা কমে ১৯-এ নেমে আসবে।
এই পরিস্থিতিতে, কর্মক্ষম জনগণের সংখ্যা কমে যাওয়ার সঙ্গে প্রবীণদের জন্য সঞ্চয় ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে, যার ফলে অনেক বয়স্ক মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়তে পারেন, যা বিশ্লেষকদের মতে খুবই সম্ভাব্য। এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সরকারি সেবাগুলো চাপের মুখে পড়বে। সরকারকে প্রবীণদের সেবায় পরিবারের আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করতে হতে পারে, যা তরুণদের ব্যয় এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে। এই কারণে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বৃদ্ধ জনসংখ্যা বৃদ্ধি নারীদের জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি বাঁচেন। এর ফলে বিধবার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ভারতে এখনো অনেক বিধবাকে কঠিন জীবনযাপন করতে হয়। বিধবাদের স্বামীর সম্পদ তাদের এবং সন্তানদের মধ্যে ভাগ হওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
যদিও সরকার প্রবীণ জনগণের জন্য নানা নীতি গ্রহণ করেছে, তবে সেগুলোর বাস্তবায়ন এখনো সীমিত। একই সঙ্গে ভারতের পেনশন ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং দেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থাও দুর্বল। ফলস্বরূপ, প্রবীণদের প্রতিবছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়, যা তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হয়। অনেক প্রবীণ এই জটিল ও অপ্রয়োজনীয় আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মোকাবেলা করতে পারেন না।
এটি ভারতে একটি বড় সংকটের ইঙ্গিত দেয়, যা দেশের উন্নতির পথে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- জানা গেল হাদীকে কারা করে গু’লি? রিকশায় ছিলেন তিনি
- নবম পে-স্কেল: চালু ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে, যা জানালেন সরকারি কর্মচারীরা
- বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনা: নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ-দেখুন ফলাফল
- নবম পে স্কেল কাঠামো আসছে ৩ ধাপে, দেখুন কবে থেকে কার্যকর
- কানে চুল গজানো কিসের লক্ষণ? জানলে অঁতকে যাবেন
- মোহাম্মদপুরে হ’ত্যাকান্ড: বেরিয়ে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ যে ঘোষণা: জানুন সর্বশেষ অপডেট
- ভয়াবহ ভূমিকম্প: এবার কম্পন ৬.৭ মাত্রার-উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনা: ২ গোলে শেষ হল ম্যাচ, দেখুন ফলাফল
- হাদিকে গু’লি, হামলাকারী ২ জনের সম্পর্কে যা জানা গেল
- ভয়াবহ ভূমিকম্প: কম্পন ৭ মাত্রার
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ: কোথায়, কখন-সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- আর্জেন্টিনা বনাম বাংলাদেশ আজকের ম্যাচ সরাসরি দেখুন (LIVE)
- হাদিসহ কিলিং টার্গেটে আছেন যারা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য-এর পেছনে কার হাত?
- মোহাম্মদপুরের হ’ত্যা’কান্ড: কারন জানালেন গৃহকর্মী