ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা বন্ধের নির্দেশ দেন হাসিনা

২০২৫ মার্চ ০২ ১১:৫৩:২২
জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা বন্ধের নির্দেশ দেন হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৩ সালের জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার প্রথম মামলায় এই ঘটনার উল্লেখ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রসিকিউশন।

চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু চিকিৎসক, যারা আওয়ামীপন্থী ছিলেন, তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

আশিক মাহমুদ নামে এক ভুক্তভোগী জানান, "শেখ হাসিনা প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’, অর্থাৎ কোনো চিকিৎসা দেওয়া হবে না এবং কাউকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না, যাতে তারা বাইরে চলে যেতে না পারে।"

তিনি আরও বলেন, "পতনের আগে শেখ হাসিনা আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।" অনেক আওয়ামীপন্থী তার এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, "তাজুল ইসলাম কি বুঝে বলেছেন, না না বুঝে বলেছিলেন?" কারণ, চিকিৎসা না দেওয়ার এবং রোগীকে ছাড়পত্র না দেওয়ার বিষয়টি অনেকেই ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রসিকিউটরের দাবি, "আমরা যখন পঙ্গু হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলি, তখন অনেক রোগী বলেন যে শেখ হাসিনা তাদের দেখতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এদের চিকিৎসা কোনোভাবেই দেওয়া হবে না’ এবং কাউকেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে না, অর্থাৎ ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’।”

আহতরা আরও জানান, হাসপাতাল থেকে অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। বেশ কিছু সময় চিকিৎসকরা কোনো সাহায্য করেননি, এমনকি আহতদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়েছিল। চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় অনেক আহত ব্যক্তি অসহ্য কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল কেনান জানিয়েছেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখার জন্য দায়ী চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে।"

প্রসিকিউশন টিম জানায়, "শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসা বন্ধ রাখা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি বড় দলিল।" এটি গণহত্যা ও চিকিৎসা সেবা বন্ধের মতো অপরাধের জন্য প্রথম মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে। চিকিৎসার অধিকার বঞ্চিত করা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য, যা এক ধরনের টর্চার বা নির্যাতন হিসেবেই বিবেচিত।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি উঠছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত