ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ২১:২৮:৩৭
ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ এখন উত্তেজনার অগ্নিশিখায় ঝলসে উঠছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ঘনিয়ে এসেছে, যা অনেক বিশ্লেষকের মতে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বসূচনা হতে পারে। কিন্তু এই যুদ্ধ শুধু আধুনিক ভূরাজনীতির ফসল নয়—এ নিয়ে বহু শতাব্দী আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে—খোরাসান অঞ্চল থেকে এক বাহিনী কালো পতাকা হাতে রওনা হবে। তাদের কেউ রুখতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা বায়তুল মুকাদ্দাসে সেই পতাকা স্থাপন করে। ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, খোরাসান বলতে বোঝানো হয়েছে আধুনিক ইরান, আফগানিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের কিছু অঞ্চলকে—যার বেশিরভাগ বর্তমানে ইরানের সীমানাভুক্ত।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই ভবিষ্যদ্বাণী যদি বাস্তব রূপ নিতে শুরু করে, তবে সেই কালো পতাকাধারী বাহিনী উঠে আসবে ইরান থেকেই। তারা হবে আল-আকসা মসজিদ তথা বায়তুল মুকাদ্দাসের মুক্তিদাতা। এই ঐতিহাসিক পবিত্র ভূমি বর্তমানে ইসরায়েলের দখলে, যদিও আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

১৯৮০ সালে ইসরায়েল একতরফাভাবে "জেরুজালেম আইন" পাশ করে শহরটিকে তাদের রাজধানী ঘোষণা করলেও, জাতিসংঘ তা প্রত্যাখ্যান করে। আজ পুরো জেরুজালেম, বিশেষ করে আল-আকসা এলাকা, ইসরায়েলি দখলে—এই বাস্তবতায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, হাদিসে বর্ণিত সেই যুদ্ধ কি আমাদের চোখের সামনেই ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে?

মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, "যখন খোরাসান অঞ্চল থেকে কালো পতাকা নিয়ে বাহিনী আগাবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে যোগ দাও। কারণ তাদের মধ্যেই থাকবে আল্লাহর খলিফা—ইমাম মাহদী।"এই হাদিসকে ভিত্তি করে ইসলামি গবেষকরা মনে করেন, সেই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন ইমাম মাহদী, যাঁর আগমন কেয়ামতের এক বড় আলামত।

এই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে সম্পর্ক খোঁজে পাওয়া যায় হাদিসে বর্ণিত ‘আল-মালহামা’ নামক ভয়ংকর যুদ্ধের সাথেও, যেটি ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হয়, সেই যুদ্ধে ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে ইসলামী খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটবে।

সম্প্রতি, ১৩ জুন, ইসরায়েল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে ইরানের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যাতে ইরানের উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ হতাহত হন। এর জবাবে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইরান। এই পাল্টাপাল্টি হামলা এখন যেন এক স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন করছেন—তবে কি আমরা সেই মাহদীয় যুগের দ্বারপ্রান্তে, যেখানে কেয়ামতের আলামতগুলো একে একে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে?

এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ