সদ্য সংবাদ
খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে পাল্টে গেল দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় এনেছে। রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতির গুঞ্জনের মধ্যেই তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—এখন প্রয়োজন সংঘাত নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া।
ঈদের ঠিক আগে, যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল এবং সম্ভাব্য কর্মসূচিকে ঘিরে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তখন এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বেগম জিয়া বলেন, “প্রকাশ্য সংঘাতে না গিয়ে, আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো উপস্থাপন করতে হবে।” তার এই বক্তব্যের পর থেকেই বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে আসে দৃশ্যমান পরিবর্তন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারপারসনের পরামর্শে রাজপথের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎকে দল ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছে, যা একটি গঠনমূলক রাজনৈতিক ধারার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেগম জিয়ার এই অবস্থান ইঙ্গিত দেয়—তিনি পরিস্থিতিকে কেবল রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, রাষ্ট্রনৈতিক দৃষ্টিতেও মূল্যায়ন করছেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি তার এই আহ্বান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নানা প্রতিকূলতা, মামলা, কারাবাস ও চিকিৎসা সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েও বেগম জিয়া যে প্রতিশোধ নয়, বরং শান্তিপূর্ণ আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা তার রাজনৈতিক পরিপক্বতার প্রমাণ—মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
রাজনীতির বাস্তবতায় তার এই পদক্ষেপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে: উত্তেজনা নয়, এখন সময় সংলাপের।দেশবাসীও চাইছে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আর যদি আলোচনার মাধ্যমে সে পথ সুগম হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
–আশা/