ঢাকা, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

হার্ট অ্যাটাকের আগে যে ৮টি লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ২২ ২০:৪৮:১২
হার্ট অ্যাটাকের আগে যে ৮টি লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: হার্ট অ্যাটাক বা হৃদ্‌রোগজনিত আকস্মিক আক্রমণ একটি প্রাণঘাতী বিপদ, যা অজান্তেই ঘটে যেতে পারে। হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়, এবং তখনই ঘটে হার্ট অ্যাটাক।

জীবনযাত্রায় অনিয়ম, অপুষ্টিকর খাবার ও শরীরচর্চার অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ আগে থেকে চিনে নিলে বিপদ অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। নিচে এমনই ৮টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের কথা বলা হলো:

১. হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা দম বন্ধ হয়ে আসা

সাধারণ হাঁটা-চলায়ও যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা হঠাৎ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, সেটি হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ফুসফুসে তরল জমা বা হৃদযন্ত্রের দুর্বল কার্যকারণ এর পেছনে থাকতে পারে।

২. অকারণে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

বিশেষ করে বিশ্রামের সময় বা অল্প পরিশ্রমেই ঘাম ঝরতে থাকলে সাবধান হোন। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঘামের সঙ্গে বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা বা দুর্বলতাও থাকে, তাহলে অবহেলা করবেন না।

৩. বুকে চাপ বা ব্যথা

বুকের মাঝখানে ভারী চাপ লাগা, জ্বালাভাব বা ব্যথা অনুভব করা এবং সেই ব্যথা কাঁধ, চোয়াল বা হাতে ছড়িয়ে পড়া — এসবই হার্ট অ্যাটাকের স্পষ্ট সংকেত। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

৪. দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও কফ

অনেকদিনের কাশি, কফে রক্ত বা ঘোলাটে ভাব দেখা দিলে তা হৃদযন্ত্রে দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে।

৫. হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

বারবার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা চোখে হঠাৎ অন্ধকার দেখাও হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ কমে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করা ঠিক নয়।

৬. দ্রুত ক্লান্তি অনুভব করা

সাধারণ কাজে দ্রুত হাঁপিয়ে যাওয়া বা বুক ধড়ফড় করা—বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে—হৃদরোগের সূচনা বুঝিয়ে দিতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

৭. নিয়মিত তীব্র মাথাব্যথা

প্রতিদিন মাথাব্যথা হলে শুধুই মাথার নয়, হৃদপিণ্ডের সমস্যার পূর্বাভাসও হতে পারে। বিশেষ করে হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে, এই লক্ষণ অবহেলা করা বিপজ্জনক।

৮. পালস রেটের ওঠানামা

বিশ্রামরত অবস্থাতেও যদি হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে যায় বা কমে আসে, এবং তার পেছনে কোনও কারণ খুঁজে না পান—তাহলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

এই উপরের যেকোনো একটি লক্ষণও যদি আপনি নিয়মিত অনুভব করেন, তাহলে দেরি না করে হার্ট স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিন। সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।

— রিপোর্ট: সোহাগ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ