সদ্য সংবাদ
শেখ হাসিনা কি সরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে একটি প্রশ্ন—আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর থাকছেন না শেখ হাসিনা? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা প্রকাশিত এক প্রতিবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভেতরে চলছে বড় ধরনের পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা। এমন একটি পরিকল্পনার কথাও বলা হচ্ছে, যেখানে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে আনা হবে ‘পরিচ্ছন্ন’ ও ‘নতুন’ নেতৃত্ব। এই সম্ভাব্য নেতৃত্বে উঠে আসতে পারেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো কয়েকজন অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তির নেতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হয়তো নতুন কোনো ষড়যন্ত্র নয়—বরং পুরনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি, যেখানে ‘আওয়ামী লীগকে রেখে শেখ হাসিনাকে সরানোর’ চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ে এমন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার ভাষায়, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ‘একটি বিশুদ্ধ আওয়ামী লীগ’ গঠনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যেখানে শেখ পরিবারের ‘ভুল’ স্বীকার করে দলকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র। দলটি যদি এমন কারো নিয়ন্ত্রণে যায়, যাদের পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা আছে, তবে তা ভারতের জন্য নিরাপদ হবে না।
আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই গুঞ্জনের বিষয়ে বলেন, “এটা পুরোনো গল্প, নতুন মোড়কে। ২০০৬ সালেও এমন চেষ্টা হয়েছিল, ব্যর্থ হয়েছিল। এবারও হবে।” তিনি জানান, দলটি এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত।
এদিকে কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, “বর্তমানে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে এই কথিত ‘রিফাইন আওয়ামী লীগ’ পরিকল্পনা।” তবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং তাদের আশ্বস্ত করছেন যে তিনি দেশ ছাড়বেন না—বরং শেষ দেখে ছাড়বেন।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৩টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছেন।
এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান আলোচনা ও কৌশলগত হিসাব-নিকাশ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে—আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ এবং আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির চাপ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে একটি “পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ” আদৌ গড়া সম্ভব কিনা, কিংবা তা জনসমর্থন পাবে কিনা—সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ