সদ্য সংবাদ
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা: কতটা ক্ষতি হল

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৩ জুন রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় হঠাৎ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আকাশ। পরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ‘আল উদেইদ’ সামরিক ঘাঁটিতে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
তবে কাতারের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো সক্রিয় হয়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। ফলে হতাহতের খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে কাতার সরকার ও মার্কিন সেনা সূত্র।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) জানায়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তারা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, হামলা কাতার বা তার জনগণের বিরুদ্ধে নয়, বরং মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে।
ঘাঁটিটি শহর থেকে দূরে হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল না বলে দাবি করেছে ইরান। তবে বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এক দোহাবাসী সিএনএন-কে জানান, “আমার ছোট সন্তান বিস্ফোরণের শব্দে কেঁদে উঠেছিল, আমরা পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে যাই।”
হামলার পর মধ্যরাতে বাহরাইনে বাজানো হয় সাইরেন, নিরাপদ আশ্রয়ের নির্দেশ দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ করে কুয়েত, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে জারি হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা।
ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে হামলার সম্ভাবনায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হলেও সরাসরি হামলার খবর নিশ্চিত হয়নি। যদিও ইরানের রাষ্ট্রঘনিষ্ঠ বার্তা সংস্থা ‘তাসনিম’ দাবি করেছে, ইরাকেও হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে কাতার, যা তারা তাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। সংহতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় ফিরতে বলেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা মূলত ইরানের প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন। দোহা ইনস্টিটিউটের এক অধ্যাপক আল-জাজিরাকে জানান, হামলার আগেই ঘাঁটিটি খালি করে নেওয়া হয়েছিল, যা থেকে ইঙ্গিত মেলে যে হামলার বিষয়ে আগাম বার্তা দেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারকে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২১ জুন রাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়। এর জবাবেই এই পাল্টা হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
‘আল উদেইদ’ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি, যা ১৯৯৬ সালে কাতারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। এখানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। ইরাক, কুয়েত, বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিরিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- শেখ হাসিনা লন্ডনে যাচ্ছেন, যা জানা গেল প্রকৃতভাবে
- ইরানকে শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা, বিপদের ঝুঁকিতে যেসব জেলা
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—সবই কি ভাগ্যের লিখন
- ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স প্রিয়া মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত: কী ঘটেছিল
- অপারেশন সিদুর’-এ ২৫০ ভারতীয় সেনা নিহত, দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ, জেনে নিন কার্যকর ৬টি সমাধান
- তরুণদের মধ্যেও বাড়ছে ক্যানসার: এই লক্ষণগুলো অবহেলা করলেই বিপদ
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- ভারত কি ভাঙনের পথে! সত্যি হতে চলেছে ওবামার সতর্কবার্তা