সদ্য সংবাদ
জীবনসঙ্গী কি ভাগ্যে লেখা নাকি নিজের কর্মফল!

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের নাম—জীবনসঙ্গী। অনেকের মনেই এক প্রশ্ন ঘুরপাক খায়: আমি কাকে বিয়ে করব? এটা কি পূর্ব থেকেই নির্ধারিত, নাকি আমার কর্ম, পছন্দ ও সিদ্ধান্তের ফল?
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, বিয়ে বা জীবনসঙ্গী নির্ধারণ আল্লাহর কুদরত ও তাকদিরের অংশ। তবে একই সঙ্গে ইসলাম মানুষকে দিয়েছে চিন্তা, পছন্দ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা**। আল্লাহ চান মানুষ নিজে ভালো ও কল্যাণকর পথ বেছে নিক।
হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: _"প্রত্যেক শিশুর জন্মের আগেই তার রিজিক, আয়ু, আমল এবং সে সুখী হবে না দুঃখী—সবকিছু লিখে দেওয়া হয়।"_ —(সহিহ মুসলিম)
তবে এর মানে এই নয় যে চেষ্টা ও দোয়ার দরজা বন্ধ। বরং ইসলাম এও শিক্ষা দেয়—নিজের পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়।
ভালোবাসার মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাওয়া – ইসলাম কী বলে?
অনেকে দ্বিধায় পড়েন—কাউকে পছন্দ করলে তার সঙ্গে বিয়ের জন্য দোয়া করা ঠিক কি না? ইসলাম বলে, সদিচ্ছা ও শালীনতার মধ্যে থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা সম্পূর্ণ বৈধ। যেমন দোয়াটি এমনভাবে করা যায়:
_"হে আল্লাহ! যদি অমুক ব্যক্তি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তবে আমাদের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করে দাও। আর যদি তিনি আমার জন্য অনুপযুক্ত হন, তবে আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দাও।"_
এভাবে দোয়া করলে, আপনি নিজের চাওয়াটাও প্রকাশ করলেন আবার আল্লাহর ইচ্ছাকেও অগ্রাধিকার দিলেন।
✅ বোরকা না পরে বড় জামা ও হিজাব পরা– যদি পোশাক ঢিলাঢালা ও দৃষ্টি আকর্ষণ না করে এবং শরীর ঢাকে, তাহলে তা জায়েয।
✅ নামাজে হাই এলে – হাই আসলে মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখা উত্তম (বিশেষত ডান হাত)।
✅ শিশু নামাজের সময় জায়নামাজে প্রস্রাব করলে – জায়নামাজ সরিয়ে জায়গা বদল করে নামাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
✅ নামাজে বারবার ভুল হলে –
- ভুলটি ফরজ হলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
- যদি ওয়াজিব হয়, তাহলে শেষে সিজদায়ে সাহু করতে হবে।
✅ আজানের সময় মেয়েদের মাথা ঢাকা আবশ্যক নয়, যদি তারা বাসার ভেতরে থাকেন। বাইরে হলে পর্দার বিধান মানা জরুরি।
✅ ঘন দাড়িতে ওজু করার নিয়ম – দাড়ির গভীরে পানি পৌঁছানো কষ্টকর হলে, বাহ্যিকভাবে পানি লাগানোই যথেষ্ট।
✅ কবর জিয়ারতে সূরা পাঠ আবশ্যক নয়, সালাম ও মাগফিরাতের দোয়া করাই মূল কাজ।
✅ নেককার জীবনসঙ্গী পেতে চাইলে –
১. নিজেকে আগে সৎ ও ধর্মভীরু করে তুলতে হবে। ২. আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে (সূরা ফুরকান, আয়াত ৭৪)। ৩. ভালো পরিবেশ ও সৎ সমাজে থাকতে হবে।
জীবনসঙ্গী আল্লাহর এক নিয়ামত। তবে এ নিয়ামত পাওয়ার আগে দরকার নিজেকে প্রস্তুত করা—আচার-আচরণ, ইমান ও দৃষ্টিভঙ্গিতে। দোয়া, ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি ভরসাই হতে পারে সঠিক পথের চাবিকাঠি।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী