আফ্রিদির পাওনা টাকা নিয়ে বিসিবির প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ আফ্রিদির পাওনা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এক চোট হেসে ফেলেন। তার হাসি যেন বোঝাচ্ছিল যে, তিনি এ বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন। কিছুটা সময় নিয়ে হাসি থামিয়ে তিনি বলেন, “এটা ভালো যে লাহোরে এসে আফ্রিদির সঙ্গে দেখা হয়নি।”

যদিও সরাসরি আফ্রিদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি, তবে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসের মেন্টর হিসেবে শহীদ আফ্রিদির পাওনা নিয়ে যে সমস্যা ছিল, সেটি ফারুকের কাছে এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি। আফ্রিদি তার পাওনা না পেয়ে বিসিবি সভাপতিকে ই-মেইল করেছেন, তবে চুক্তির কপি পাঠাননি। ফারুক আহমেদ জানান, আফ্রিদির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নন, “তিনি চুক্তির কপি পাঠাননি, সেজন্য আমরা কিছুটা অন্ধকারে আছি।”

ফারুকের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিসিবি কিছুই করতে পারে না। চুক্তির শর্তাবলী যাই থাকুক, বিসিবি কোনো আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারবে না। ফারুক বলেন, “বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি, বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি থাকে, তাই এসব বিষয় তাদের মধ্যে সমাধান হতে হবে। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর কে নিয়োগ করবে, সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।” তবুও, আফ্রিদির মতো একজন খেলোয়াড়ের এমন অভিযোগ দেশের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলবে, এ বিষয়ে তিনি একমত।

আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে ফারুক আরো বলেন, “আফ্রিদির ক্ষেত্রে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শুধু অনুরোধ করতে পারি, কিন্তু এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। তাহলে আমরা কিসের ভিত্তিতে এর সমাধান চাইব?” তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচন আরও সচেতনতার সঙ্গে করা উচিত।

ফারুক আসলে লাহোরে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভির আমন্ত্রণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল দেখতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তানকে বাংলাদেশে আতিথ্য দেয়ার জন্য দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “শ্রীলঙ্কা সফর শেষে পাকিস্তান যাবো। আমরা একটি খসড়া তারিখ তৈরি করেছি এবং বলেছি, আজকের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হোক।”

এফটিপির বাইরের তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ সম্পর্কেও তিনি পিসিবির পক্ষ থেকে ইতিবাচক খবর দিয়েছেন। দুই বোর্ডের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর, পিসিবি টি-টোয়েন্টি দলের বেশ কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কেই বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান বাদ পড়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফারুক আহমেদ বলেন, “মুশফিক ও মাহমুদ উল্লাহর ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তবে তাদের অবসর সিদ্ধান্ত তাদের কাছ থেকে আসা উচিত। বোর্ড পরবর্তীতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”

এদিকে, জাতীয় দলের কোচ নিয়োগের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চান। তিনি ফিল সিমন্সের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে আগ্রহী। সিমন্সের মতো "ডেডিকেটেড" কোচকে পূর্ণকালীন নিয়োগ দিতে চান ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, “আমরা স্থানীয় কোচদের বিকাশ করতে চাই। সিমন্স এই ব্যাপারে সাহায্য করেছেন, এবং তাকে পূর্ণকালীন কোচ হিসেবে আমরা চাই।”

ফারুক আরো বলেন, “এ সপ্তাহেই সিমন্সের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো। কোচ নিয়োগের বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

রাকিব/