ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানকে শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৪ ১৭:০৮:১০
ইরানকে শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!

নিজস্ব প্রতিবেদন: ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর মধ্যপ্রাচ্যে আপাত শান্তি ফিরেছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির পরও থেমে নেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ। এবার ইরানের তেলনির্ভর অর্থনীতির ওপর সরাসরি আঘাত হানল যুক্তরাষ্ট্র।

৩ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মূলত ইরানি তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রকে টার্গেট করেই এই পদক্ষেপ। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানান, “ইরানের রাজস্বের উৎসে চাপ সৃষ্টি করে তাদের অস্থিতিশীল কার্যকলাপে অর্থায়ন রোধ করাই আমাদের লক্ষ্য।”

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরাক ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক সালিম আহমেদ সাইদের নেতৃত্বে একটি চক্র বহু বছর ধরে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ইরানি তেলকে ‘ইরাকি তেল’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক বাজারে পাচার করে আসছে। এই তেল সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে বিক্রি করা হতো।

মার্কিন প্রশাসনের দাবি, ২০২০ সাল থেকেই এই পাচার কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে। এর মাধ্যমে ইরান গোপনে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে এবং তা ব্যবহার করছে বিদেশে তাদের প্রভাব বিস্তারে।

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে কয়েকটি জাহাজ, যেগুলো ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নামে পরিচিত গোপন নেটওয়ার্কের অংশ। এই জাহাজগুলো গোপনে তেল পরিবহন করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বাজারে পণ্য সরবরাহ করে।

এছাড়াও, হিজবুল্লাহ-ঘনিষ্ঠ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘আল-কারদ আল-হাসান’ এবং তাদের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের লেনদেনের মাধ্যমে হিজবুল্লাহকে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে। একই সঙ্গে, কোনো মার্কিন নাগরিক বা কোম্পানি তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে অংশ নিতে পারবে না।

উল্লেখ্য, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আর্থিক সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরেই উদ্বিগ্ন। এরই ধারাবাহিকতায় ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ওয়াশিংটন।

রয়টার্সের এক আগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র গোপনে তেল বিক্রি করেই ইরান প্রতিবছর প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে, যার বড় একটি অংশই যায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পেছনে।

আশা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ