ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ১৮:৩৫:০৫
মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কপোতাক্ষ নদ তীরের এক প্রাচীন ব্রাহ্মণ পরিবারে ঘটেছে এক রুদ্ধশ্বাস অলৌকিক ঘটনা। ১৫ বছর আগে আত্মহত্যা করা ছেলে এবং তিন বছর আগে মারা যাওয়া জামাইকে এক গভীর রাতে স্বচক্ষে দেখেছেন বৃদ্ধা সন্ধ্যা রানী ব্যানার্জী।

রাত তখন প্রায় চারটা। চাঁদের আলোয় নদী তীর জুড়ে নেমে এসেছে নিঃস্তব্ধতা। জানালার পর্দা ধীরে দুলছে বাতাসে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় সন্ধ্যা রানীর। প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী তিনি নদীর পাড়ে মাটি আনতে বের হন।

তিনি বলেন, “১০ বছর ধরে প্রতিদিন এই সময়েই নদীর পাড়ে যাই মাটি আনতে। কখনও কোনো অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। কিন্তু ওই রাতটা ছিল আলাদা।”

হঠাৎ দূর থেকে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে কেউ এগিয়ে আসতে থাকলে তার মনে অজানা এক ভয় ও আকর্ষণ জাগে। মাথা তুলে তাকাতেই দেখেন—তার মৃত ছোট ছেলে এবং জামাই ধীরে ধীরে তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে।

দুজনের চোখে জল, মুখে কষ্টের ছাপ। তারা বলছে, “মা, আমরা ভালো নেই। আমরা তোমার কষ্ট অনুভব করি। শান্তি পাই না, তাই এসেছি তোমার কাছে।”

সন্ধ্যা রানী তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে তারা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। তিনি চিৎকার করে বলেন, “তোমাদের তো মরতে বলিনি! তাহলে চলে গেলে কেন?”

সে কান্নার মধ্যে তারা নদীর ধারে শ্মশানের দিকে হেঁটে যায়, নিঃশব্দে।

সন্ধ্যা রানী জানান, তাঁর ছোট ছেলে আত্মহত্যা করেন ১৫ বছর আগে। এরপর থেকে তিনি প্রতিদিন নদীর পাড়ে গিয়ে ছেলের জন্য খাবার রাখতেন। আর বড় জামাই মারা যান মস্তিষ্কের ক্যানসারে, তিন বছর আগে। মৃত্যুর পর এতদিন পর হঠাৎ তাদের দেখা পেয়ে তিনি হতভম্ব। “আমি তো কখনো ভূতের কথা বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ওই রাতের ঘটনার পর বুঝলাম—মৃত মানুষও ফিরে আসে। তারা কিছু বলতে আসে… হয়তো মায়ের ভালোবাসা টেনে আনে।”

ঘটনার পর স্থানীয়রাও বিস্মিত। কারও কাছেই এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই—না ধর্মীয়, না বৈজ্ঞানিক।

তবুও, সন্ধ্যা রানীর চোখে পানি ঝরতেই থাকে। তার বিশ্বাস—মৃত সন্তানরা মায়ের ভালোবাসা কখনো ভুলে না।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ