ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

লাফিয়ে কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ১৬:৪১:৩৭
লাফিয়ে কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও কমে গেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারে তেলের এই দরপতনের পেছনে রয়েছে চীনের কমে যাওয়া চাহিদা, ওপেক প্লাস জোটের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনার অনিশ্চয়তা। এসব কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বুধবার (১১ জুন) সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে নেমে এসেছে ৬৬.৭২ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ১৫ সেন্ট কম। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুডের দাম ১০ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৮৮ ডলার প্রতি ব্যারেল।

বিশ্লেষকদের মতে, দামের পতনের মূল কারণগুলো হলো—

* চীনে জ্বালানির চাহিদা হ্রাস

* ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা

* মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই বাজারে সতর্ক অবস্থান

* প্রযুক্তিগত দিক থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা

এদিকে লন্ডনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার আভাস দিয়েছে। এতে চীনের বিরল খনিজ ও চুম্বকজাত পণ্যের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেননি।

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্ব তেলের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, কারণ এই দুই দেশই জ্বালানির বড় ভোক্তা।

বিশ্লেষক টনি সাইকামোর মতে, “চীনের অর্থনৈতিক চাপ যদি হ্রাস পায় এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তবে ভবিষ্যতে তেলের চাহিদা আবারও বাড়তে পারে।”

অন্যদিকে, ওপেক প্লাস আগামী জুলাই মাসে দৈনিক উৎপাদন ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল বাড়াতে চায়, যা বর্তমান উৎপাদন সীমিতকরণ নীতির বিপরীতে। যদিও কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, এই অতিরিক্ত তেলের জন্য পর্যাপ্ত চাহিদা থাকবে না।

ক্যাপিটাল ইকোনমিক্স-এর বিশ্লেষক হামাদ হুসেইনের মতে, “সৌদি আরবসহ কিছু দেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা তেলের দামে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে, তবে বছরের শেষ নাগাদ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে।”

এদিকে, আগামী ১২ জুন প্রকাশিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (EIA) সর্বশেষ তেল মজুত সংক্রান্ত প্রতিবেদন। প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত ৩ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। তবে ডিজেল ও গ্যাসোলিনের মজুত সামান্য বেড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপ।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ