সদ্য সংবাদ
শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রার্থী করতে চায় জামায়াত, রাজি হবেন কি তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতি সবসময়ই চলমান পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায়। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সময় ছাড় দেয় নিজেদের দীর্ঘদিনের নীতিতেও। সেই ধারাতেই এবার নতুন কৌশলের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দীর্ঘদিন ধরে সদস্য বা সক্রিয় কর্মী ছাড়া কাউকে প্রার্থী না করার অবস্থানে থাকা জামায়াত এবার সেই রীতির ব্যতিক্রম ঘটাতে যাচ্ছে। দলটি এবার সম্মানিত ইসলামি চিন্তাবিদদের রাজনীতির ময়দানে আনার পরিকল্পনা করছে। এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া-৩ আসনে ইতোমধ্যেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মুফতি আমির হামজাকে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্বকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে জামায়াত। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দেশব্যাপী পরিচিত ইসলামি বক্তা ও সমাজসেবক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ এমন একজন আলেম, যিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি ‘আনসুন্নাহ ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে সমাজসেবায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও তার কাজে আস্থা রেখে দান করে থাকেন সেই ফাউন্ডেশনে।
জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরাও চাইছেন, শায়খ আহমাদুল্লাহকে প্রার্থী করা হোক। সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকা হিসেবে তার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুর সদর অথবা বর্তমান কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জের কোনো একটি আসন ভাবা হচ্ছে।
তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়ারপল্লী জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অনুসারীদের মতে, দেশের যেকোনো আসন থেকেই তিনি একটি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—তিনি নিজেই কি রাজনীতিতে আসতে প্রস্তুত?
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন, সমাজের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করাটাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এক সাক্ষাৎকারে ইসলাম ও গণতন্ত্রের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, গণতন্ত্র শুধু ভোট নয়, এটি তার একটি ছোট অংশ। ইসলাম দায়িত্বশীল শাসক নির্বাচনে পরামর্শ গ্রহণকে বৈধ মনে করে, যা খেলাফতে রাশেদার যুগেও দেখা গেছে। তবে গণতন্ত্রে যেভাবে প্রত্যেকের মতামত সমানভাবে বিবেচনা করা হয়, ইসলাম সে জায়গায় জ্ঞানী ও বিচক্ষণদের মতকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
তার মতে, গণতন্ত্রে আইন তৈরি হয় জনইচ্ছার ভিত্তিতে, কিন্তু ইসলামে চূড়ান্ত আইন হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া বিধান। এই জায়গাটিই ইসলামের সঙ্গে গণতন্ত্রের মূল পার্থক্য।
তবে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হবেন কিনা—সে সিদ্ধান্ত এখনও তার পক্ষ থেকে স্পষ্ট নয়। অনেকের মতে, আদর্শিক জায়গা থেকে রাজনীতিতে অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস