ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে কী লেখা ছিল

২০২৫ মে ২৫ ১৩:০৭:২৯
প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে কী লেখা ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই গুঞ্জন উঠে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি হস্তান্তর করেন।

চিঠিতে বিএনপি তিনটি মূল দাবির ওপর জোর দেয়—

১. বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার,

২. একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা,

৩. বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশে গণতান্ত্রিক অগ্রগতি হলেও গত সাড়ে ছয় মাসে সেই অগ্রগতির প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে।

বিএনপির মতে, একটি অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দীর্ঘমেয়াদি ও স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বিশেষত, মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ। বিএনপি চিঠিতে স্পষ্ট করে জানায়, এমন সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই গ্রহণযোগ্য।

নির্বাচন প্রসঙ্গে দলটি দাবি করে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অবিলম্বে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তাদের মতে, সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একসঙ্গে চলতে পারে, এবং একই সঙ্গে মানবতা ও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারও চলমান থাকবে।

এছাড়া চিঠিতে আরও বলা হয়, যেসব উপদেষ্টার বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড সরকারের নিরপেক্ষ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তাদের অপসারণ প্রয়োজন। দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ