ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার চোখে বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ২৪ ১২:৫০:০৮
ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার চোখে বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার চোখে বাংলাদেশনিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি তাঁর সম্ভাব্য পদত্যাগ নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। যদিও এখনও তিনি দায়িত্বে বহাল আছেন, তবে সংকটময় পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলেও দৃষ্টি কেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস শিরোনাম করেছে: “নির্বাচনী চাপের মুখে ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা”। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, তা প্রথমে জনগণের মধ্যে আশা জাগালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হতাশায় রূপ নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ড. ইউনূস দেশের রাজনীতিকে নির্বাচনমুখী করতে চাইলেও তাঁর উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার এক অনানুষ্ঠানিক সমঝোতার কারণে। এই গোষ্ঠী দাবি করছে, ইউনূস অনেকটা ধীরগতিতে এগোচ্ছেন, যার ফলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না পেলে তিনি পদত্যাগের কথা ভাবছেন।

গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ড. ইউনূস ইতোমধ্যেই একটি পদত্যাগপত্রের খসড়া প্রস্তুত রেখেছেন। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সহকারী জানিয়েছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে যারা তাঁর পাশে থাকার কথা ছিল, তারা আজ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে—এতেই তিনি সবচেয়ে বেশি হতাশ।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। শেখ হাসিনার দল নিষিদ্ধ হওয়ার পর কার্যত বাংলাদেশে সংগঠিত কোনো বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিও ক্রমেই সরকারকে চাপে ফেলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব, তবে সেটি পুরোপুরি সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মোবাশ্বের হাসান বলেন, “নির্বাচনের জন্য কোনো বাস্তব প্রতিবন্ধকতা নেই—প্রয়োজন কেবল সময় আর রাজনৈতিক সদিচ্ছা।”

বর্তমানে ৮৪ বছর বয়সে এসে ড. ইউনূস এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে রাজনৈতিক বিভাজন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও চাপ তাঁর পথকে কঠিন করে তুলেছে। তিনি একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্থিতিশীল নির্বাচন চান, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সেটি আদৌ সম্ভব কি না।আশা/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ