সদ্য সংবাদ
বাংলাদেশে বুলেট ট্রেন আনছেন ড. ইউনূস, নজরে মোদী-হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশে উচ্চগতির বুলেট ট্রেন প্রকল্প। নতুন সরকারের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এই যুগান্তকারী প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার গতির ট্রেনে যাত্রা হবে মাত্র ৫৫ মিনিটে। ছয়টি প্রধান স্টেশনে থামবে ট্রেনটি—ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এ সেবা নিতে পারবেন।
তবে এটি শুধু একটি রেল প্রকল্প নয়। প্রতিটি স্টেশনকে ঘিরে গড়ে তোলা হবে নতুন শিল্পাঞ্চল, যার মাধ্যমে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
এই প্রকল্পটির সূচনা হয়েছিল ২০১৭ সালে, যখন চীনের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই এবং প্রাথমিক নকশার কাজ প্রায় শেষ হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ভারসাম্যের কারণে প্রকল্পটি স্থগিত করে দেয়। এবার সেই থমকে যাওয়া প্রকল্পই নতুন করে গতি পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়েই এই উদ্যোগকে গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছেন। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা এ অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়, অর্থনীতি, শিল্প এবং কর্মসংস্থানে এক নতুন বিপ্লব বয়ে আনতে পারে। এই ট্রেন প্রকল্প যেন বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার প্রতীক হয়ে ওঠে—এমনই প্রত্যাশা দেশের সাধারণ মানুষের।
আয়শা সিদ্দিকা/