ঢাকা, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

কত টাকা থাকলে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক

ধর্ম ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৩ ১০:০৮:৩৭
কত টাকা থাকলে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন,

"তোমার প্রভুর জন্য নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।" (সুরা কাউসার: আয়াত ২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যার কোরবানির সামর্থ্য থাকার পরও সে তা করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।" (ইবনে মাজাহ: হাদিস ৩১২৩)

কোরবানি শুধু পশু জবাই নয়—এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি বিশেষ উপায়। হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু হাজির করা হবে তার শিং, খুর এবং পশমসহ। এমনকি পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়। (তিরমিজি: ১৩৯১)

কার জন্য কোরবানি ওয়াজিব?

যে মুসলমান প্রয়োজনীয় খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ সম্পদের মালিক, তার ওপর কোরবানি করা আবশ্যক। এটি নামাজের মতোই—সামর্থ্য থাকলে করতে হবে।

কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হয়। নিসাব নির্ধারিত হয় দুটি উপায়ে:

স্বর্ণের হিসাবে: সাড়ে ৭ ভরি (তোলা) স্বর্ণ বা তার সমমূল্যের সম্পদ। উদাহরণস্বরূপ, যদি প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয় ১,৭২,৫৪৫ টাকা, তাহলে সাড়ে ৭ ভরির মোট মূল্য হবে প্রায় ১২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।

রুপার হিসাবে: সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা তার সমমূল্য। এই হিসাবে কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন সম্পদের পরিমাণ হতে পারে ৮২ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

কবে এই সম্পদের মালিক হতে হবে?

ঈদুল আজহার সময়, অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১০, ১১ বা ১২ তারিখে যদি কেউ প্রয়োজন মিটিয়ে এই নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। এই সম্পদ এক বছর ধরে মালিকানায় থাকা শর্ত নয়—ঐ সময়ে মালিক হলেই যথেষ্ট।

ফিকাহ গ্রন্থ 'রদ্দুল মুহতার'-এ বলা হয়েছে: প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ-সামর্থ্যবান, মুসলিম, ঋণমুক্ত, এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক—তার জন্য কোরবানি করা ফরজ। তা না করলে সে গোনাহগার হবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মহান ইবাদত যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন। আমিন।

গণি/

ট্যাগ: ঈদ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ