ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রী হয়ে হাসিনা ফিরছেন

২০২৫ মার্চ ১৩ ১৪:২৪:০৯
প্রধানমন্ত্রী হয়ে হাসিনা ফিরছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। ছেড়ে দেওয়া শেষ ট্রেনও আর ফিরে আসে না। অতীতের টাইম ট্রাভেল আজ শুধুই গাণিতিক সূত্র বা সিনেমার পাতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

তবে, কিছু মানুষ এবং একটি দেশ দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা বিশ্বাস করছে, একদিন সবকিছু ফিরে আসবে, তারা আগের মতোই সবকিছু দখল করবে, ঠিক যেমনটা তারা অন্যদের ওপর অত্যাচার করেছে। তারা মনে করছে, একদিন তারা যেখানে ছিল, সেখানে ফিরে গিয়ে নতুন করে সব শুরু করবে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে, এক নদীতে মানুষ দ্বিতীয়বার নামতে পারে না। নদী বদলে যায় কিংবা মানুষ বদলে যায়।

এভাবেই পাল্টে যাচ্ছে গল্পের দৃশ্যপট, যেখানে আওয়ামী লীগ ও ভারতের কাহিনীও পরিবর্তিত হচ্ছে। দিল্লির রাজপথে চলা তুষের আগুন থামছে না। শেখ হাসিনা নেই, তবুও বাংলাদেশ আছে। এই ভাবনাই মোদি সরকারের কপালে চিন্তার রেখা তৈরি করতে পারে। তাদের এক বিখ্যাত সাংবাদিক তো সাত মাস আগে বলেছিল, "এই বাংলাদেশ আর থাকবে না।"

কিন্তু বাস্তবতা কিছুটা আলাদা। আওয়ামী লীগের পতিত নেতাদের একত্র করে ভারতের মিডিয়াগুলো নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এক ধরনের দৈব শক্তির কারণে, তারা এখনও বাংলাদেশ থেকে দূরে যেতে পারছে না। তারা অল্প একটু ইঙ্গিত দিয়ে বলতে চায়, হাসিনা ফিরে আসবেন, আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরে আসবেন। যদিও বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন— হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক বিতর্ক রয়েছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে, যেখানে একপক্ষ আবারও হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সবাই একমত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।

এখন আর কেউ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার কথা চিন্তা করছে না। তবুও, ভারতের মিডিয়া সেই পুরনো বাস্তবতা বুঝতে চাইছে না। মার্কিন মুলুকে এক আওয়ামী লীগ নেতা এসে বলছেন, "হাসিনা ফিরে আসবে, প্রধানমন্ত্রী হয়ে।" কিন্তু তারা আসলে বাস্তবতার সঙ্গে একমত হতে পারছে না।

ভারত এই আন্দোলনকে একটি বিশেষ গোষ্ঠী পরিচালিত বলে দাবি করছে, কিন্তু গণঅভ্যুত্থানকে তারা এখনো স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছে। দিল্লির ক্ষমতাশীলরা এই পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছে। যদিও জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্টে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। নিরপেক্ষ গুলি চালানো, হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া, এসব অপরাধীদের একটি বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছে ভারতে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে ভারতও চাপের সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু ঘটনা পাল্টে গেছে— ভারতের মিডিয়া ও আচরণের দিকে তাকিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, "কিসের ক্ষমতায়, কার গলার আওয়াজে?"

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ