সদ্য সংবাদ
জানা গেল, ১৭ থেকে ২০ মার্চ ভারতে কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে

বিজিবি ও বিএসএফের বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে, নাকি শিথিল হবে, এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও জল্পনা। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বিজিবি এই বৈঠকে দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং ভারতের সাথে সরাসরি, চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।
হাসিনা সরকারের সময় ভারত ও বিএসএফের যে বড়ভাই সুলভ মনোভাব ছিল, তা কি এখন পরিবর্তিত হবে, এই বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। যদি বৈঠকটি উত্তেজনা সৃষ্টি করে, তবে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা চলছেই।
বিএসএফের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সীমান্তে প্রায়ই উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করা। একের পর এক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড, ভূমিদখল, শূন্য রেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ—এসব কর্মকাণ্ড সীমান্তে সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে, বিজিবি সব সময় ধৈর্য ধরে তাদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসেছে।
বিজিবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্তের মাটি রক্ষায় তারা একদম ছাড় দেবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা রয়েছে, এবং তা এখনো কিছুটা প্রভাব ফেলছে।
আগামী ১৭ থেকে ২০ মার্চ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই বৈঠকে কোন কোন বিষয় প্রাধান্য পাবে, সে বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিএসএফের সীমান্ত হত্যা, গুলি চালানো বন্ধ করা, সীমান্তে ভারতীয় মাদক কারবারি বন্ধ করা—এসব বিষয় গুরুত্ব পাবে। এছাড়া, সীমান্তে বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ এবং কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়ও আলোচনায় আসবে। তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালে হওয়া অসম চুক্তির ধারা সংশোধনের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি বলেছেন, “সাম্প্রতিক ইস্যুসহ অন্য কোনো ইস্যুতে বাংলাদেশ ছাড় দেবে না।”
এদিকে, বিজিবির কঠোর হুঁশিয়ারি ও দৃঢ় অবস্থান দেখে সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা প্রশংসা করছেন। তারা বলছেন, ভারত আর কোনো অবস্থাতেই তাদের ‘তাঁবেদারি’ চালাতে পারবে না। তবে সীমান্তরক্ষীরা দেশের নিরাপত্তায় কতটা প্রস্তুত, সেটি এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, ১৭ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের কোন নতুন দিক উন্মোচন করে এবং সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় কিনা।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস