সদ্য সংবাদ
নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ছাত্রদের নতুন দল এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখন একটি নতুন রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আলোচনায় রয়েছে। তবে, দলটি বর্তমানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দলের প্রধান উপদেষ্টা তার ঘোষণায় জানিয়েছেন, এনসিপির সামনে মাত্র ১০-১১ মাসের সময় রয়েছে, যার মধ্যে দলটির নিবন্ধন শর্ত পূরণ, কার্যক্রম পরিচালনা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের তরুণ নেতারা কীভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবেন, সে বিষয়ে এখনো আলোচনা চলমান।
২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক এবং আক্তার হোসেনকে সদস্য সচিব করে এনসিপি আত্মপ্রকাশ করে। এরপর থেকেই দলের ভবিষ্যৎ এবং সাফল্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকারী সূত্র অনুযায়ী, ডিসেম্বর অথবা আগামী জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে, অর্থাৎ দলটির সামনে খুবই সীমিত সময় রয়েছে – মাত্র ১০ থেকে ১১ মাস।
এনসিপি’র সামনে এখন কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ, পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও আস্থা অর্জন। দলের তৃণমূল স্তরে সংগঠন গঠন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরা হচ্ছে। দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, তৃণমূল স্তরে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠন গঠন এবং নিবন্ধন শর্ত পূরণের প্রাথমিক ধাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন নিবন্ধন প্রক্রিয়া, যা তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রথম বাধা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৯০(ক) অনু্যায়ী, একটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধিত হতে হলে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথম শর্ত, দলের প্রার্থীকে স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনে অন্তত একটি আসনে জয়ী হতে হবে, অথবা যেসব আসনে দলীয় প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে মোট ভোটের ৫ শতাংশ অর্জন করতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত, দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং অফিস থাকতে হবে, এবং তৃতীয় শর্ত, দেশে অন্তত এক তৃতীয়াংশ জেলা এবং ১০০টি উপজেলা বা থানা এলাকায় অফিস থাকতে হবে, যেখানে প্রতি অফিসে অন্তত ২০০ সদস্য থাকতে হবে।
এনসিপির জন্য প্রথম শর্ত পূরণ করা সম্ভব নয়, কারণ তারা স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া, অন্য শর্তগুলোও পূরণ করা কঠিন হতে পারে। তবে, বর্তমানে এসব শর্ত কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন শিথিলতার আশ্বাসও দিতে পারে।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৯টি। পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর ভিড়ে এনসিপি আলোচনায় এসেছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহও তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, "একটি দলকে নির্বাচনে সফল হতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। এনসিপি যত দ্রুত তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়তে পারবে, সেটাই তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি।" তিনি আরও মনে করেন, "ভালো প্রার্থী নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এনসিপি ভালো সংগঠন তৈরি করতে এবং ভালো প্রার্থী দিতে পারে, তবে তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে।"
এনসিপি কি এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে জনগণের মন জয় করতে পারবে? সময়ই তা প্রমাণ করবে, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাদের জন্য এই পথ খুব সহজ হবে না।
রাকিব/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস