সদ্য সংবাদ
সাকিবের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে মুখ খুললেন মির্জা ফখরুল, সারা দেশে উঠলো আলোচনার ঝড়

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একের পর এক বিতর্ক ও মামলার কবলে পড়েছেন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার কার্যত থেমে গেছে। প্রথমে একটি হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর, এবার চেক প্রতারণার মামলায় সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। রোববার মিরপুরে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে এসে এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজনীতিতে জড়ানোর পর থেকেই সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার সংকটে পড়ে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। বিপিএলেও অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হন এই তারকা অলরাউন্ডার। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা থাকলেও বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে জায়গা হয়নি দলে। সব মিলিয়ে সাকিবের ক্রিকেট অধ্যায় কার্যত শেষ বলেই মনে করছেন অনেকেই।
জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে রংপুর এবং সিলেট দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খেলা শেষে সাংবাদিকরা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।
ফখরুল বলেন, "আমি এ বিষয়ে ঠিক মন্তব্য করতে চাই না, এটা আমার সাবজেক্ট নয়।"
তিনি আরও বলেন, কোনো খেলোয়াড়ের অবসর নেওয়ার আগে রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। এটি খেলা এবং রাজনীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর রাজনীতিতে অংশ নেওয়া তাদের অধিকার বলে মনে করেন তিনি।
ফখরুলের মতে, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না। এবং যেটা চলমান অবস্থাতেও না। ভবিষ্যতে যারা খেলা ছেড়ে দেবেন, তারা রাজনীতি করতে পারেন, এটা তাদের অধিকার। তবে এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি মনে করি। এবং এই অধিকার মানুষের সকলেরই থাকা উচিত।"
রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে সাকিব যে কতটা বিপাকে পড়েছেন, তা তার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে। একদিকে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিষেধাজ্ঞা ও দল থেকে বাদ পড়া, অন্যদিকে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা—সব মিলিয়ে সাকিবের অবস্থা দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে।
সাকিবের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভক্তদের পাশাপাশি ক্রীড়া মহলেও হতাশা বিরাজ করছে। ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি সাকিব রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেন, তাহলে তার ক্যারিয়ার হয়তো এমন পরিণতি পেত না। এখন দেখার বিষয়, তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে নতুনভাবে দাঁড়াতে পারেন কি না।
সাকিব ইস্যু বাংলাদেশের খেলাধুলায় রাজনীতির প্রভাবের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত হওয়া নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, সেটি দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতির জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। মির্জা ফখরুলের মন্তব্যও সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ