সদ্য সংবাদ
ঢাকার ক্লাবগুলোর হাতে জিম্মি দেশের ক্রিকেট, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা

আজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ, কিন্তু তা আর হচ্ছে না। কারণ, ঢাকার ক্লাবগুলো নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য পুরো লিগ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু প্রথম বিভাগ নয়, তারা ঘোষণা দিয়েছে, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হলে আর কোনো লিগেই অংশ নেবে না। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কার্যত জিম্মি করে ফেলেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে এবং নাজমূল আবেদীনের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রস্তুত করেছে। তবে ঢাকার ক্লাবগুলোর অভিযোগ, এই গঠনতন্ত্র তাদের দীর্ঘদিনের কর্তৃত্বে আঘাত হানতে পারে। তাই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছে এবং নাজমূল আবেদীনের পদত্যাগ দাবি করেছে।
বর্তমান বিসিবি গঠনতন্ত্রে ঢাকার ক্লাবগুলোর প্রভাব সর্বত্র। ১৭১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৭৬ জনই ঢাকার ক্লাব থেকে মনোনীত। ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্যদের ১২ জনই ঢাকার ক্লাব প্রতিনিধিত্ব করেন, যেখানে আঞ্চলিক পর্যায় থেকে মাত্র ১০ জন আসেন। এমনকি তৃতীয় বিভাগ লিগের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ ক্লাবগুলো থেকেও কাউন্সিলর মনোনীত হয়, কিন্তু একটি গোটা জেলা থেকেও একাধিক কাউন্সিলর থাকার সুযোগ নেই। এ ধরনের কাঠামোই ঢাকার ক্লাবগুলোর শক্তিকে বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রে ঢাকার ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিত্ব কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে ঢাকার ক্লাবগুলোর কাউন্সিলর সংখ্যা ৩০-এ নামিয়ে আনার এবং পরিচালকের সংখ্যা ৪-এ সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে, বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে ১৩ জন পরিচালকের অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে।
ঢাকার ক্লাবগুলো দাবি করছে, এই পরিবর্তন তাদের প্রতি অন্যায়। তবে বিসিবি বলছে, এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য সারা দেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো। কারণ, বিসিবি শুধুমাত্র ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, পুরো দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।
ঢাকার ক্লাবগুলোর আধিপত্যের কারণে সারা দেশে ক্রিকেটের কাঠামো এখনো ঢাকাকেন্দ্রিক। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার দুই যুগ পরও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী বা সিলেটের মতো বড় শহরগুলোতে ঢাকার মতো শক্তিশালী কোনো লিগ গড়ে ওঠেনি। অথচ দেশের ক্রিকেটের ভিত্তি হওয়া উচিত ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে শক্তিশালী কাঠামো।
প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলোর প্রতিনিধিদের ভোটে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হওয়া উচিত। এতে সারা দেশের সুষম প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং ঢাকার ক্লাবগুলোর একাধিপত্য কমে আসবে।
বর্তমানে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি উঠেছে, আর এ সময়টিই দেশের ক্রিকেটের কাঠামো সংস্কারের আদর্শ সুযোগ। ঢাকার ক্লাবগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে বিসিবির উচিত সারা দেশের ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে শক্তিশালী করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। ঢাকার ক্লাবগুলোর এই প্রতিরোধকে অগ্রাহ্য করে, এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ