ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

সোহাগ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, যা জানা গেলো

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৫ ১০:৪১:০৮
সোহাগ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, যা জানা গেলো

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে র‍্যাব-১১-এর একটি দল তাকে আটক করে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের যে ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানে নান্নুসহ মোট চারজনকে সোহাগকে ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেখা যায়। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে রবিবার ঢাকা ও নেত্রকোণা থেকে সজীব ও রাজীব নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যাদের বর্তমানে পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত

গত বুধবার হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত সড়কে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে, ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্রও করা হয়েছিল, এমনকি কয়েকজন হত্যাকারী তার শরীরের ওপর উঠে লাফাচ্ছিল বলে জানা গেছে, যা ঘটনার চরম নৃশংসতা তুলে ধরে।

নিহত সোহাগের পরিচয় ও পারিবারিক তথ্য

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রমতে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কিছু যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নিহত সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন। পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বরগুনা সদরে তার গ্রামের বাড়ি। তিনি ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা (ষষ্ঠ শ্রেণি) এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান (চতুর্থ শ্রেণি) এর জনক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় ১৯ জন নামধারী এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ