সদ্য সংবাদ
সোহাগ হত্যা মামলা: এজাহারে 'কারসাজির' অভিযোগ স্বজনদের

ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর ছুঁড়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে মূল অভিযুক্তদের নাম বাদ দিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। শনিবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করে সোহাগের পরিবার। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ
নিহতের স্বজনদের দাবি, মামলা দায়েরের আগে পুলিশ তাদের যে অভিযোগপত্রটি পড়ে দেখার সুযোগ দিয়েছিল, তাতে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিনজনের নাম উল্লেখ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বাদী যে এজাহারে স্বাক্ষর করেছেন, সেখান থেকে সেই তিনজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এমন ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
স্বজনরা দুটি অভিযোগপত্রের কপি গণমাধ্যমকে দেখিয়েছেন। প্রথম কপিতে ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর আসামি হিসেবে যথাক্রমে আ. লতিফ মোল্লার ছেলে কাইউম মোল্লা (৪৫), হাবিবুর রহমান হবির ছেলে রাকেশ (৩৫) এবং রহিম (৩৬)-এর নাম ছিল। কিন্তু পুলিশ কর্তৃক গৃহীত এজাহারে এই তিনজনের নাম নেই। উপরন্তু, এজাহারের ১৯ নম্বর আসামি হিসেবে জাফর আলী হাওলাদারের ছেলে আনিচুর রহমান হাওলাদারের (৪০) নাম যুক্ত করা হয়েছে, যা প্রথম অভিযোগপত্রে ছিল না।
স্বজনদের বক্তব্য
সোহাগের ভাগ্নি বিথি জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৩টায় তারা কোতোয়ালি থানায় পৌঁছান। রাত পর্যন্ত মামলা নেওয়া হয়নি। পরে তার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। ওসি মনিরুজ্জামান মনির তাদের একটি অভিযোগপত্র পড়তে দেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করার সুযোগ দেন। বিথি সেই কপির ছবি তুলে রাখেন। তখন তিনি অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার বিষয়টি এজাহারে না থাকায় প্রশ্ন করলে ওসি সংশোধনের আশ্বাস দেন।
বিথি আরও বলেন, "আমার মা প্রথম যে কপিটা ছিল, ওইটায় তার সিগনেচার দিতে হতো, যেহেতু বাদী সে। কিন্তু সিগনেচার ওইটায় না নিয়ে তারা নিজেদের মতো যে সাজানো হয়েছে, তিনটা আসামি ১৭, ১৮, ১৯ নম্বর আসামি, প্রথম যে কপিটা ছিল ওইটা ঠিকঠাক ছিল। দ্বিতীয়বার যেটা রেডি করা হয়েছে, তিনটা আসামির নাম কেটে দেয়া হয়েছে। এবং অন্য যারা এটার সাথে সম্পৃক্তই না, তাদের নাম জড়ানো হয়েছে।" তার মতে, মূল হোতাদের বাদ দিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাকে হালকা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহত সোহাগের বোন ও মামলার বাদী মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, "ভাই মারা যাওয়ার কারণে আমার হিতাহিত জ্ঞান ছিল না। আমি কপিটি আমার মেয়েকে দেখিয়েছি। আমি যখন সই করেছি, তখন মনে করেছি, আসামির নাম আছে। কিন্তু পরে দেখা গেল যে, না আসামির নাম নাই। এখানে একটা পলিটিক্স করা হয়েছে।"
পুলিশের বক্তব্য
কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "এজাহারতো তারা দিয়েছে, এজাহার কি আমরা করছি? এজাহার চেঞ্জ করার কোনো সুযোগই নেই। তারা যেটা এজাহার দিয়েছে, আমরা সেটাই মামলা রেকর্ড করেছি। তারা কি অশিক্ষিত? তারা কি মূর্খ? কিছুই নয়। আন্দাজে একটা কথা বলে।" তিনি আরও যোগ করেন, বাদীপক্ষ শিক্ষিত এবং জেনেশুনেই স্বাক্ষর করেছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দিন জানান, এটি চাঁদাবাজির ঘটনা নয়, বরং পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে। তাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নিহত সোহাগ এবং অভিযুক্তরা ভাঙারির ব্যবসা একসঙ্গে করত।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনা লন্ডনে যাচ্ছেন, যা জানা গেল প্রকৃতভাবে
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা, বিপদের ঝুঁকিতে যেসব জেলা
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—সবই কি ভাগ্যের লিখন
- ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স প্রিয়া মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত: কী ঘটেছিল
- অপারেশন সিদুর’-এ ২৫০ ভারতীয় সেনা নিহত, দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ, জেনে নিন কার্যকর ৬টি সমাধান
- তরুণদের মধ্যেও বাড়ছে ক্যানসার: এই লক্ষণগুলো অবহেলা করলেই বিপদ
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- জরিপ বলছে: জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে বিএনপি