সদ্য সংবাদ
কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হয় কি! ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নোত্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্মীয় জীবনে নানা প্রশ্ন ও দ্বিধা মানুষের মাঝে সবসময়ই দেখা যায়। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলেমদের ব্যাখ্যা অনুসারে এমন কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হলো, যা মুসলিম সমাজে প্রায়ই আলোচিত হয়।
কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা কি গুনাহ?
ইসলামি বিধানে সাধারণত দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ এতে প্রস্রাবের ছিটা শরীর বা পোশাকে লাগার আশঙ্কা থাকে, যা পবিত্রতা রক্ষায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রস্রাবের ব্যাপারে অসতর্কতা কবরের আজাবের অন্যতম কারণ। যদিও কিছু নির্দিষ্ট হাদিসে বিশেষ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার অনুমতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে স্বাভাবিক অবস্থায় বসে প্রস্রাব করাই সুন্নত ও উত্তম পন্থা। আধুনিক কমোডেও দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করাকে ইসলাম সমর্থন করে না।
নামাজে নারীরা চুল খোলা রাখতে পারবেন কি?
নারীদের জন্য নামাজের সময় শরীর ও মাথা ঢেকে রাখা ফরজ। যদি চুল খোলা থাকলেও তা ভালোভাবে আবৃত থাকে এবং নামাজে মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটে, তাহলে চুল খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে রুকু বা সেজদায় চুল যদি বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তাহলে চুল বাঁধা উত্তম।
ভাইয়ের সামনে পর্দার বিধান কী?
নিজ ভাই মাহরাম হওয়ায় তার সামনে নারী নিজের মুখ, চুল, গলা, হাত ও পায়ের গোড়ালি প্রকাশ করতে পারেন। তবে আধুনিক অশালীন বা টাইট ফিটিং পোশাক পরে ভাইয়ের সামনে আসা ইসলাম সম্মত নয়। ইসলাম সর্বাবস্থায় শালীনতা বজায় রাখাকে গুরুত্ব দেয়।
ছেঁড়া বা পুরনো কোরআন শরীফের সঠিক সম্মান কীভাবে রক্ষা করা যাবে?
ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী, পুরনো বা ছেঁড়া কোরআনের কপি পবিত্রতার সাথে মাটিতে এমন স্থানে পুঁতে রাখতে হবে, যেখানে কেউ হাঁটে না। কেউ কেউ হাদিস ও সাহাবিদের যুগের উদাহরণ থেকে প্রমাণ দিয়ে বলছেন, প্রয়োজন হলে তা আগুনে পোড়ানোও বৈধ, তবে যেন অপমান বা প্রতিবাদমূলক উদ্দেশ্যে না হয়।
গোসলের ছিটা লাগলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয় কি?
যদি শরীরে দৃশ্যমান কোনো অপবিত্রতা না থাকে, তবে গোসলের ছিটা গায়ে বা কাপড়ে লাগলে তাতে নাপাক হয় না। তবে যদি নাপাক কিছু শরীরে লেগে থাকে এবং সেই স্থান থেকে ছিটা কারও গায়ে লাগে, তাহলে সেই জায়গাটি ধুয়ে ফেলা ফরজ।
দুর্ঘটনায় আহত পশু জবাই করলে খাওয়া যাবে কি?
যদি পশুটি এখনো জীবিত থাকে এবং শরিয়ত মোতাবেক জবাই করা হয়, তাহলে সেই পশু খাওয়া হালাল। তবে যদি প্রাণ যাওয়ার পর জবাই করা হয়, তাহলে তা খাওয়া হারাম।
স্ত্রীর শ্বশুরকে ‘আব্বা’ বলা জায়েজ কি?
শ্বশুর মাহরাম হওয়ায় তার সামনে স্ত্রীর পর্দার বাধ্যবাধকতা নেই এবং তাকে ‘আব্বা’ বলা সম্পূর্ণ বৈধ ও ইসলামসম্মত।
আয়শা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- দেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- বাংলাদেশে বৃষ্টির আমেজ: দীর্ঘ তাপপ্রবাহ শেষে স্বস্তির বার্তা
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা