সদ্য সংবাদ
আত্মীয়দের দেশ ছাড়ার নির্দেশ কেন দিলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশ যখন রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে, তখন দলীয় নেতাকর্মীদের নয়—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উদ্দেশে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন। ২০২৫ সালের ৩ আগস্টের সেই রাত আজ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনার দিন শেখ হাসিনা তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে আত্মীয়দের একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠান:“No one to hear.”শুধু চারটি শব্দে বুঝিয়ে দেন পরিস্থিতির ভয়াবহতা। বার্তার গভীরতা বুঝে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুতি নেন দেশ ছাড়ার।
এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,“ভোরে ঘুম ভাঙতেই হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাই। বুঝে যাই, দেরি করলে বিপদ হবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিই দেশ ছাড়ার।”
জানা গেছে, ওই রাতেই শেখ হাসিনা বেশ কয়েকজন স্বজনকে বার্তা পাঠান। পরদিন ৪ আগস্ট, কারফিউ চলাকালীন ওই আত্মীয় ও তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান।
শুধু পরিবার, নয় নেতা-কর্মীরা উপেক্ষিত
বিশেষ সূত্র জানায়, এই নির্দেশ শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর বংশধর ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের জন্যই ছিল।দলীয় নেতাকর্মী, এমনকি মন্ত্রীদের কেউই শেখ হাসিনার কাছ থেকে এমন কোনো বার্তা পাননি।
৫ আগস্ট দুপুর নাগাদ অধিকাংশ আত্মীয় নিরাপদে বিদেশে পৌঁছে গেলে শেখ হাসিনা নিজেও ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন। শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে এবং শেখ রেহানা অবস্থান করছেন লন্ডনে, যেখানে তাঁর সন্তানরা আগে থেকেই বসবাস করছেন।
নেতাদের জন্য ছিল অনিশ্চয়তা
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেও শেখ হাসিনার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আগেভাগেই নিরাপদে বিদেশে চলে যেতে সক্ষম হন। গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশ।
তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে শেখ হাসিনার আত্মীয় সারনিয়াবাদ মইনুদ্দিন আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারভুক্ত এই সদস্যকে গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই এবং সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর পুত্র।
৩ আগস্টেই অনুধাবন, সময় শেষ
ওই ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আরও দাবি করেন,“৩ আগস্ট বিকেলেই শেখ হাসিনা বুঝে ফেলেছিলেন—সরকার আর টিকছে না। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো নয়, জীবন বাঁচাতে হলে এখনই দেশ ছাড়তে হবে।’”
তৎকালীন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সেদিন সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফিরলেও বিমানবন্দরেই শেখ হাসিনার মৌখিক বার্তা পেয়ে আবার সিঙ্গাপুরে ফিরে যান।
সেদিনই প্রধানমন্ত্রী জরুরি বৈঠকে বসেন জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে। সেনাবাহিনী প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ছাত্র-জনতার দাবির মুখে তারা অভিযান চালাতে পারবে না। এ কথার পরই তিনি নিশ্চিত হন—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ জেনেও শেখ হাসিনা কেন কেবল আত্মীয়দের রক্ষার চেষ্টা করলেন—এ প্রশ্ন উঠেছে দলীয় ভিতরে-বাইরেও।অস্ট্রেলিয়ায় থাকা আত্মীয়টির ভাষায়,“হয়তো তিনি ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি আবার আসবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। তাই প্রিয়জনদের আগে রক্ষা করাটাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।”
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না