ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ১২ দেশের নাগরিক

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ০৫ ১১:৫৫:৩৭
যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ১২ দেশের নাগরিক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য মার্কিন ভূখণ্ডে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ৭টি দেশের নাগরিকদের ওপর আরোপ করা হয়েছে কঠোর ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ।

স্থানীয় সময় ৪ জুন (বুধবার) হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা হয় এই নির্বাহী আদেশটি। আদেশটি কার্যকর হবে আগামী সোমবার থেকে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয় বৃহস্পতিবার (৫ জুন)।

সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ১২টি দেশ: আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।

কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধের আওতায় থাকা ৭টি দেশ: বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা।

এই পদক্ষেপের ব্যাখ্যায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, “জাতীয় নিরাপত্তা এবং মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্যই আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

হোয়াইট হাউস থেকে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “সম্প্রতি কোলোরাডোর বোল্ডারে এক ইসরায়েলপন্থি সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, যেসব বিদেশিকে সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি, তাদের প্রবেশ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। ইউরোপে যা ঘটেছে, আমেরিকায় তা হতে দেওয়া যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন কোনো দেশ থেকে অভিবাসন নীতিতে শিথিলতা দেখাতে পারি না, যেখানে আগতদের যথাযথভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের আমরা প্রবেশ করতে দেবো না।”

এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই ট্রাম্পের ২০১৭ সালের বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পুনরাবৃত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রথম মেয়াদে তিনি মুসলিমপ্রধান সাত দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। সে সময় হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন, কেউ কেউ ফ্লাইটেও উঠতে পারেননি।

সেই দেশগুলো ছিল: ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন। পরে অনেক আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের সংশোধিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে।

সেখানে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া এবং ভেনেজুয়েলার কিছু সরকারি কর্মকর্তার নামও। তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই এই নিষেধাজ্ঞাকে জাতীয় নিরাপত্তার অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরেছেন, যদিও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রকাশ্যে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ