সদ্য সংবাদ
কত সম্পদ থাকলে কুরবানি করা ফরজ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদন: কুরবানি ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে পালন করা ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে যায়। অনেকেই জানেন না, কোন পরিস্থিতিতে কুরবানি করা বাধ্যতামূলক হয় এবং না করলে কী ধরনের গুনাহ হয়। চলুন বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নেওয়া যাক:
কত সম্পদ থাকলে কুরবানি করা ওয়াজিব হবে?কুরবানি সেই মুসলমানের জন্য ওয়াজিব, যিনি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। এর মানে হলো:
* প্রয়োজনের অতিরিক্ত সোনা, রূপা, নগদ টাকা, ব্যাংক ব্যালেন্স, বা বাণিজ্যিক মালপত্র যার কাছে আছে
* এই সম্পদের মূল্য যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা (প্রায় ৮৭.৪৮ গ্রাম) বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা (প্রায় ৬১২.৩৬ গ্রাম) বা এর সমমানের সম্পদের সমান বা বেশি হয়
২০২৫ সালের বাজারদর অনুযায়ী, যার কাছে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো সম্পদ রয়েছে (সোনা, রূপা বা নগদ অর্থ হিসেবে), তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হতে পারে।
এই সম্পদ ঈদুল আজহার দিন ফজরের সময় থেকে অবশ্যই থাকা লাগবে।
কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নামাজি হওয়া, রোজা রাখা বা হজে যাওয়া শর্ত নয়। কেবল নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়াই যথেষ্ট।
কুরবানি না করলে কি গুনাহ হবে?যদি কারও ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়, অথচ সে ইচ্ছাকৃতভাবে তা না করে, তাহলে তা গুনাহ বা পাপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
পবিত্র হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:“যার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সে কুরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।”(ইবনে মাজাহ: হাদিস ৩১২৩)
এই হাদিসে কুরবানির গুরুত্ব এবং তা অবহেলা করলে কী ভয়াবহ গুনাহ হতে পারে, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিদ্দিকা/