ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকার শরবতে ব্যবহৃত বরফের উৎস শুনে আপনি চমকে যাবেন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মে ০৬ ১১:১৩:৫২
ঢাকার শরবতে ব্যবহৃত বরফের উৎস শুনে আপনি চমকে যাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত যেন স্বর্গসুখ! মাত্র ১০ টাকায় শহরের ফুটপাতে মিলছে সেই স্বস্তি। কিন্তু জানেন কি, এই ঠান্ডা শরবতের পেছনে লুকিয়ে আছে প্রাণঘাতী এক ভয়ঙ্কর সত্য?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শরবতের জন্য ব্যবহৃত বরফের একটি বড় অংশই আসছে এমন সব বরফকল থেকে, যেগুলো স্বাস্থ্যবিধির বালাই না রেখেই বরফ তৈরি করে। কোথাও ময়লা ড্রেনের পানি, কোথাও মাছ সংরক্ষণের বরফ, এমনকি হাসপাতালের মর্গে লাশ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত বরফও রাস্তায় বিক্রি হওয়া শরবতে গলিয়ে দেওয়া হচ্ছে!

ঢাকার আশপাশের অনেক বরফ কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে পচা ট্যাংকি, ওয়াশার বা দূষিত পানির উৎস। সেই বরফ ব্যবহার হচ্ছে রাস্তার শরবতের দোকানে। বিক্রেতারা অনেকেই জানেন না বরফ কোথা থেকে এসেছে। কেউ কেউ জানার পরও চুপ—কারণ তাদের কাছে মুনাফাই মুখ্য, জনস্বাস্থ্য নয়।

চোখে দেখলে বরফগুলো একেবারে স্বচ্ছ, ঠান্ডা। কিন্তু ল্যাব টেস্টে মিলেছে ভয়ঙ্কর তথ্য—এই বরফে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এমনকি হেপাটাইটিসের জীবাণু! অর্থাৎ, ঠান্ডা শরবতের স্বাদ নিতে গিয়ে আপনি হয়ত গিলে ফেলছেন অসুস্থতার বীজ।

ক্যামেরা দেখলেই অনেকে দোকান ছেড়ে পালায়, আবার কেউ মুখ ফিরিয়ে নেয়। কেউ কেউ বলেন, "ভাই, আমরা তো বিষ দিচ্ছি না!" অথচ বরফ ফ্যাক্টরিতে গেলে দেখা যায়—দেয়ালে কালো দাগ, চারপাশে স্যাঁতসেঁতে আবর্জনা, দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া দায়।

একদিকে সেই বরফে ঠান্ডা রাখা হচ্ছে মাছ, সংরক্ষিত হচ্ছে মৃতদেহ—অন্যদিকে তা গলে গলে ঢুকছে আমাদের শরীরে শরবতের আড়ালে।

এক গ্লাস ঠান্ডা শরবতের আরামে যেন চিরদিনের বিশ্রাম না নিয়ে ফেলি।

সোহাগ/

ট্যাগ: বরফ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ