ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

কাশ্মির হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি: “জবাব কম হবে না”

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৪ ১৫:৪৯:১৯
কাশ্মির হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি: “জবাব কম হবে না”

কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত কড়া অবস্থান নেয়, পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি সীমান্তেও কড়াকড়ি আরোপ করে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, “ভারতের পদক্ষেপগুলো শুধুই প্রতিক্রিয়াশীল এবং শিশুসুলভ। এসবের যথাযথ ও উপযুক্ত জবাব আমরা বৈঠকে বসে দেব। আমাদের জবাব কোনওভাবেই হালকা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত অতীতের মতো এবারও পাকিস্তানকে দায়ী করছে, অথচ কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এই ধরনের ঘটনার নেপথ্যে আসল উদ্দেশ্য কী— সেটা আন্তর্জাতিক মহলের বোঝা উচিত।”

পাকিস্তানের অভিযোগ: ভারতের সাজানো ঘটনা

কাশ্মিরের হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ তাদের দাবি, ভারত নিজেই এই হামলা পরিকল্পনা করেছে যাতে পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপানো যায় এবং কূটনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করা যায়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “এই রকম ষড়যন্ত্র ভারত অতীতেও করেছে, তাই একে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা যায় না।”

পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, ভারতের প্রতিটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের কড়া জবাব দেওয়া হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েন

সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন থাকলেও এমনভাবে একতরফাভাবে তা স্থগিত করার ঘটনা বিরল। ইসহাক দার বলেন, “চুক্তি নিয়ে যদি ভারতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রমাণ থাকে, তাহলে তা প্রকাশ করা উচিত— কেবল দোষারোপ করলে হবে না।”

কাশ্মির সংকট: দুই ভিন্ন বর্ণনা

১৯৮৯ সাল থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে স্বাধীনতাকামী আন্দোলন চলছে। অনেক কাশ্মিরি মুসলমান ওই অঞ্চলের পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে কিংবা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে মত দেন। ভারত এই আন্দোলনকে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ বলে বর্ণনা করে, অন্যদিকে পাকিস্তান এটিকে ‘বৈধ ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকামী আন্দোলন’ হিসেবে তুলে ধরে।

দুই দেশের এই বৈপরীত্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং চলমান উত্তেজনা কেবল সীমান্তে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও প্রভাব ফেলছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ