ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা: কোটি ডলারের বাণিজ্যে ধস, দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৯ ২১:৪২:১৯
ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা: কোটি ডলারের বাণিজ্যে ধস, দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কূটনৈতিক মঞ্চে দৃঢ় ও কৌশলী অবস্থান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একের পর এক উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আজ আত্মবিশ্বাসী, সুসংগঠিত এবং বাস্তবভিত্তিক—যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির অবস্থান আরও দৃঢ় করছে।

যে বাংলাদেশকে এক সময় মোদি সরকার ‘দুর্বল প্রতিবেশী’ ভেবে চাপের মুখে রাখতে চেয়েছিল, সেই বাংলাদেশই এখন পাল্টা চাল দিয়ে ভারতীয় পরিকল্পনাগুলিকে ঘায়েল করছে। ভারতের একতরফা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল ছিল সেই চাপের কৌশলের একটি অংশ। যদিও ভারতের দাবি ছিল—বন্দরে চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ছিল বাংলাদেশের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার একটি প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা।

কিন্তু এবার সেই পরিকল্পনাই ভারতীয় অর্থনীতির গলায় ফিরে এসেছে বুমেরাং হয়ে। বাংলাদেশ কৌশলী পাল্টা জবাব দিয়েছে—নয় চিৎকার করে, বরং ঠাণ্ডা মাথায়, কৌশলের পাটে।

ভারত প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ সুতা রপ্তানি করত, যা কোটি কোটি ডলারের বাজার তৈরি করেছিল। এবার সেই আমদানির উপর বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশের ব্যাখ্যা—এই সিদ্ধান্ত কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশীয় শিল্পকে রক্ষা ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে।

এর ফলে ভারতের বস্ত্র খাত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, ব্যাপক ধাক্কার মুখে পড়েছে। বস্ত্র ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মোদি সরকারের প্রতি—তাঁদের মতে, কূটনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবেই এই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

এরই মধ্যে ৫ আগস্ট, রাজনৈতিক অজুহাত দেখিয়ে ভারত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়ের হোটেল, হাসপাতাল, শপিংমলগুলো কার্যত পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। চিকিৎসা ও কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশিদের উপস্থিতির উপর নির্ভরশীল বহু প্রতিষ্ঠান এখন চরম ক্ষতির মুখে।

বাংলাদেশ এখন আর শুধু ভারতনির্ভর বাণিজ্যচক্রে আবদ্ধ থাকতে চায় না। দেশটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (RCEP)-তে যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই জোটে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া সহ ১৫টি প্রভাবশালী দেশ, যারা মিলিতভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য কৌশলে এক নতুন অধ্যায়। চীনের পক্ষ থেকেও এই উদ্যোগে রয়েছে নীরব সমর্থন।

আজকের বাংলাদেশ আর চুপ থাকা দেশ নয়। আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজের অবস্থান সাহসের সঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছে। অধ্যাপক ড. ইউনুসের নেতৃত্বে নেওয়া প্রতিটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই প্রমাণ করছে—বাংলাদেশ আজ আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক দক্ষ ও প্রভাবশালী খেলোয়াড়।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি: কোন পথে বাংলাদেশ

পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি: কোন পথে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক; আজকের বিশ্ব যেন এক বিস্ফোরক ব্যারেলের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা, আর দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পুরোনো... বিস্তারিত