ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যে দাবি সরকারি কর্মচারীদের

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৯ ১১:১৯:০৭
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যে দাবি সরকারি কর্মচারীদের

২০১৫ সালের পে-স্কেলকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে সরকারি কর্মচারীরা একটি সময়োপযোগী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা চলমান বাজার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালুর আহ্বান জানিয়েছেন।

রাজধানীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। বক্তারা জানান, ২০১৫ সালের পে-স্কেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। গত সাত বছর ধরে তারা পে-স্কেল সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তারা বলেন, নতুন পে-স্কেল কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালু করা হোক। পাশাপাশি সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনরায় চালুর দাবি জানানো হয়। এসব দাবি পূরণ না হলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণজমায়েতের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এর আগে কর্মচারীরা সাত দফা দাবির মধ্যে নবম পে-স্কেল এবং ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

বৈষম্যহীন নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন পে-কমিশন গঠন

জানুয়ারি ২০২৫ থেকেই ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করা

মূল বেতনের শেষ ধাপে উন্নীত কর্মচারীদের বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি চালু রাখা

বেতন স্কেলকে ১০ ধাপে নির্ধারণ এবং তাতে কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা

সচিবালয়সহ সব দপ্তরের সমপদে একক পদবি ও গ্রেড নির্ধারণ এবং অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন

এছাড়া তারা ২০১৫ সালের গেজেটে বাতিল হওয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের দাবি জানান। সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন চালু এবং বিদ্যমান অনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি তোলা হয়। পেনশন গ্রাচ্যুইটির হারও ৫০০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়।

জীবনযাত্রার ব্যয় ও মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষাপটে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের রেশন সুবিধা চালু এবং গৃহঋণ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়গুলোও দাবি হিসেবে উত্থাপিত হয়।

ব্লক পোস্টসহ বিভিন্ন পদে কর্মরতদের ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড এবং টেকনিক্যাল পদে কর্মরতদের যথাযথ টেকনিক্যাল মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সর্বশেষ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পকালীন চাকরিকে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেডের আওতায় না আনার আদেশ ও আউটসোর্সিং ভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানো হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ