ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

"নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!"

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ১৯ ১০:২৫:১০
"নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!"

নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. মুহাম্মদ ইউনূস—শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের কাছে এক গর্বিত নাম। শান্তির নোবেল পুরস্কার, প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল—বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ তিনটি পুরস্কারে ভূষিত মাত্র সাতজনের একজন তিনি। এই তালিকায় রয়েছেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মতো কিংবদন্তিরা।

২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই মহান মানুষটি ইতিমধ্যেই ৪০টিরও বেশি দেশের ১৪৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও ৬৬টি সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন—একটি বৈপ্লবিক উদ্যোগ যার লক্ষ্য দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দ্রুতই দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ, নারী—সবাই এক কাতারে এসে দাঁড়ায়। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। আর ৮ আগস্ট, দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিনে, ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি কি কুসন্তান যে দেশ ছেড়ে যাব? আমি এ দেশের সন্তান, এখানেই থাকবো।” এই কথার মধ্যে ছিল এক গভীর দেশপ্রেম, যা আজকের সময়ে বিরল।

ঈদের আগে-পরে দেশের নানা প্রান্তে এখন একটাই দাবি উঠে আসছে—"ড. ইউনূসকে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দিন"। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে "জাতীয় নাগরিক পার্টি"সহ কয়েকটি নতুন রাজনৈতিক দল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতেও লক্ষ করা যাচ্ছে একরকম একতাবদ্ধতার ছবি—হাজারো মানুষ পোস্ট, কমেন্ট, আর পোল-এ বলছে: “নির্বাচন নয়, ইউনূস স্যারকে পাঁচ বছর চাই।”

অন্যদিকে, বিএনপির মতো দলগুলো নির্বাচনমুখী অবস্থান নিলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এক অবিশ্বাস ও ক্ষোভ স্পষ্ট। জনগণ বলছে—"যারা বারবার দুর্নীতি করেছে, তাদের আর বিশ্বাস নেই। এবার চাই এক শুদ্ধ, স্বচ্ছ নেতৃত্ব।"

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্লোগান: ? “ইফতারের আগে নির্বাচন নয়” ? “বাঁচাতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে” ? “ড. ইউনূস থাকলে আমরা নিরাপদ”

বর্তমান বাস্তবতা বলছে—বাংলাদেশ এক নতুন বাঁকে দাঁড়িয়ে। মানুষ আর শুধু কথা নয়, কার্যকর পরিবর্তন চায়। অনেকে বলছেন, ২০২৫ সালের জুলাইয়েও যদি প্রয়োজন হয়, তবে আরেকটি গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে—যেমনটি হয়েছিল ২০২৪ সালে।

জনগণের বার্তা আজ খুবই স্পষ্ট—“রাজনীতি অনেক হয়েছে, এখন চাই উন্নয়ন। চাই একজন বিশ্বাসযোগ্য, নৈতিক নেতৃত্ব।” আর সেই নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন ড. ইউনূস।

এই অন্তর্বর্তী সরকার আজ জনআস্থার প্রতীক। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পারে দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে। তাই দেশজুড়ে আজ একটাই ধ্বনি— “নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!”

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত