সদ্য সংবাদ
পৃথিবীর "শেষ দিন" সম্পর্কে সতর্ক করল নাসা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সৃষ্টির যেমন শুরু আছে, তেমনি আছে শেষ। এবার সেই ‘শেষ দিনের’ ধারণা নিয়ে এলেন বিজ্ঞানীরা। নাসা এবং জাপানের তোহো ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—এই পৃথিবীতে প্রাণ টিকে থাকার সময় সীমিত। আর হয়তো আর মাত্র ১০০ কোটি বছর, এরপর ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাবে সব প্রাণের চিহ্ন।
সুপারকম্পিউটার এবং উন্নত গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ভবিষ্যতে সূর্যের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকবে। একসময় সূর্যের বিকিরণ এতটাই তীব্র হবে যে তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্থিতি নষ্ট করে দেবে। অক্সিজেন কমে যেতে থাকবে, জলীয় বাষ্প উবে যাবে, আর ধীরে ধীরে পৃথিবী পরিণত হবে একটি শুষ্ক, মৃত্যুগ্রহে।
তথ্য অনুযায়ী, ৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৬ সালের মধ্যে প্রাণধারণের পরিবেশ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর ১০০ কোটি ২০ সালের মধ্যে পৃথিবী হয়ে উঠবে সম্পূর্ণ প্রাণহীন।
তবে ভয় না পেয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিকেও তাকাতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে ভবিষ্যতে কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে হয়তো মানবজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। এমনকি মঙ্গল গ্রহ কিংবা অন্য কোনো গ্রহে বসবাসের সম্ভাবনাও এখন বিজ্ঞানীদের গবেষণার পরিধিতে রয়েছে।
এই গবেষণা কোনো অলীক ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বরং একটি বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস—যা আমাদের আজকের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। প্রকৃতি ধ্বংসের যে গতিতে আমরা এগোচ্ছি, তাতে এই ভবিষ্যৎ আরও ত্বরান্বিত হতে পারে।
পরিবেশ রক্ষা, টেকসই প্রযুক্তি, ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে আমাদের কাজ আজ থেকেই শুরু করতে হবে।
–শিহাব/