ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতীয় মুসলিমদের পাশে দাঁড়াল ড. ইউনূসের সরকার

২০২৫ এপ্রিল ১৮ ২২:৩৫:২০
ভারতীয় মুসলিমদের পাশে দাঁড়াল ড. ইউনূসের সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ আইনের সংশোধনীর বিরুদ্ধে মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সম্প্রতি সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যে মুসলিমদের এই আন্দোলন ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুর্শিদাবাদে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, তারা কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়, বরং সরকারের বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছিলেন।

এদিকে, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বার্থে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের কিছু পক্ষ নাকি এই অস্থিরতায় জড়িত। তার এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে বলেন, _"মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জড়ানোর যে কোনো অপচেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।"_ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সরকার ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন ভারতীয় মুসলিমদের জানমাল ও অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ঢাকা থেকে পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের উদ্দেশ্যে আইনের অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কা করছে ঢাকা।

বর্তমান ভারত সরকারের পাস করা ওয়াকফ আইনের সংশোধনীকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এই আইনটি মূলত মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পত্তির দখলদারির পথ তৈরি করছে। ফলে মুসলিমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন।

বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় মুসলিমদের পাশে থাকাই তাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ