সদ্য সংবাদ
রাস্তায় হিজাব টেনে খুলে অপমান প্রকাশ্যে লাঞ্ছনার শিকার নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের খালাপার এলাকায় এক নারীর হিজাব জোরপূর্বক খুলে নেওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। হামলাকারীরা শুধু ওই তরুণীকেই নয়, তার সঙ্গে থাকা পুরুষ সহকর্মীকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফারহিন নামে এক ২০ বছর বয়সী তরুণীর হিজাব একদল ব্যক্তি টেনে ছিঁড়ে নিচ্ছে। তার সঙ্গে থাকা সহকর্মী সচিনকে অপমানজনক ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হচ্ছে। একজন পথচারী পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
জানা গেছে, ফারহিন স্থানীয় একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ১২ এপ্রিল বিকেলে তিনি এবং সহকর্মী সচিন একটি গলিপথ ধরে মোটরসাইকেলে ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৮-১০ জনের একটি দল তাদের পথ আটকায় এবং ফারহিনের ওপর আক্রমণ চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ফারহিন ও সচিনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে, তাৎক্ষণিকভাবে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
মুজাফফরনগর সিটি সার্কেলের পুলিশ অফিসার রাজকুমার সাও বলেন, “ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্তের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত কেউই রেহাই পাবে না।”
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যায়বিচার ও নারীর নিরাপত্তার দাবিতে হাজারো মানুষ সরব হয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “এই দেশ কি নারীর সম্মান ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে আদৌ নিরাপদ?”
সোহাগ/