সদ্য সংবাদ
কাশ্মীর দখল করতে ভারতের নতুন মাস্টারপ্লান

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর। এই অঞ্চলের মোট ভূখণ্ডের ৪৩ শতাংশ ভারতের, ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের এবং ২০ শতাংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অংশ দখল করতে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারত।
২০১৯ সালে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার পর, ভারত এবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দখল নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ভারতের পরবর্তী লক্ষ্য পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরের অংশকে তাদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা।
বুধবার, ব্রিটেনের চ্যাথাম হাউসে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিংট্যাংয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শংকর বলেন, ভারত ধাপে ধাপে কাশ্মীর ইস্যু সমাধান করছে এবং ইতোমধ্যে তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, প্রথম ধাপে ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এবং তৃতীয় ধাপে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ব্যাপক ভোটার অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
চতুর্থ ধাপে ভারতের লক্ষ্য হল জম্মু-কাশ্মীরের পাকিস্তান অধিকৃত অংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। জয়শংকর বলেন, ভারত ওই ভূখণ্ড উদ্ধার করবে, যা পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। তিনি আরো জানান, এটি অর্জিত হলে কাশ্মীর ইস্যু আর কোনো সংকট হবে না।
কাশ্মীর সংকটের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে, যখন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রিটিশরা জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব দেন সেখানকার শেষ শাসক রাজা হরিসিংকে। প্রাথমিকভাবে তিনি স্বাধীন কাশ্মীরের পক্ষে ছিলেন, তবে পাকিস্তান যখন কাশ্মীর দখলের অভিযান শুরু করে এবং সেনারা শ্রীনগরের কাছে পৌঁছে যায়, তখন আত্মরক্ষার জন্য রাজা হরিসিং ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর পর ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
এইভাবে, কাশ্মীর তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় — ৪৩ শতাংশ ভারতের, ৩৭ শতাংশ পাকিস্তানের এবং ২০ শতাংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, যা বর্তমানে শিয়াচেন নামে পরিচিত।
১৯৪৭ সালের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করেন, যা সংবিধানের ৩৭০ ধারার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এই ধারার মাধ্যমে কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ সীমিত ছিল এবং বাইরের কেউ সেখানে জমি কিনতে পারতো না। তবে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে এবং এখন ভারতের নতুন লক্ষ্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দখল করা।
হাসান/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!