সদ্য সংবাদ
নতুন দলের শীর্ষ ৬ পদে নেতৃত্বে থাকবেন যারা, যা জানা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক; নানা গুঞ্জন ও আলোচনা শেষে অবশেষে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে দেশের নতুন ছাত্র রাজনৈতিক দল। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে দলটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান। দলটির প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ইতিমধ্যে শীর্ষ ৬ পদে নেতৃত্বের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এই নতুন দলের জন্ম হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, যেখানে ছাত্ররা সম্মুখ এবং পেছন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই গুঞ্জন ছিল যে, ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হতে যাচ্ছে, এবং এখন তা বাস্তবায়নের পথে।
দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকরা অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নতুন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, দলের আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাহিদ ইসলাম, আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আক্তার হোসেন। মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সার্জি চাল, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখা হতে পারে। গুঞ্জন রয়েছে, যুগ্ম সচিব হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন দায়িত্ব পেতে পারেন, তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
নতুন দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হবে। এর জন্য আহ্বায়ক কমিটির আকার বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে, একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাতে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে। এছাড়া, জুলাই আন্দোলনের আলোচিত নারী নেত্রীরা নতুন দলে জায়গা পাচ্ছেন।
তবে, দলটির নাম এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। নেতারা জানিয়েছেন, দলটির নাম জনগণের চাহিদা ও মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। নামের মধ্যে ‘নাগরিক’, ‘জনতা’ বা ‘বিপ্লব’ শব্দ থাকতে পারে, এমন একটি প্রস্তাবও উঠেছে। প্রতীক হিসেবে মুষ্টিবদ্ধ হাত, কলম এবং শাপলা ফুলের প্রতীক প্রাথমিক তালিকায় রয়েছে।
এমনকি দল গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দেশের মানুষের চাহিদা ও মতামত গুরুত্ব পাবে এবং একটি নতুন রাজনৈতিক দল দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে নতুন আশার সঞ্চার করবে।
রাকিব/